নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ঘোষক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, ‘৭১ এর রণাঙ্গনের মহানায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নদস্টা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার, ১লা জুন, বিকাল ৪ ঘটিকার সময় লন্ডন মহানগর বিএনপি এর উদ্যোগে ফেইসবুক লাইভ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
লন্ডন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি মো: তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবেদ রাজার পরিচালনায় সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুক। লন্ডন মহানগর বিএনপির নেতা রাজ মাসুদ ফরহাদ জুম অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন। আলোচনার সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করেন। বাকশাল পর্ব পেরিয়ে এই সময় আওয়ামী লীগও নতুন করে নিবন্ধিত দল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমান আওয়ামী লীগকে দেখা যায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানীকে ‘বীরউত্তম’ খেতাব দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার।
জিয়াউর রহমান দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে যে সংস্কার কাজগুলো বাস্তবায়ন করছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ‘স্বেচ্ছাশ্রমে খাল কাটা’ কর্মসূচি। সারাদেশের ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও নদী পুনর্খনন ছিল একটি সফল উন্নয়ন উদ্যোগ। আমলাগোষ্ঠীকে কোদাল হাতে, টুকরি হাতে খালাকাটার কাজ করতে হয়েছে। এই কর্মসূচিটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। কৃষির জন্য সেচকাজ, মৎস্য-উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কম-বাজেটে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এই যে হাজার হাজার কিলোমিটার খালকাটা কর্মসূচি, এটা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে।
দেশে দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সাধারণ অপরাধসমূহ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে সেই সময়কার পত্রপত্রিকা তার সাক্ষ্য দেয়। তাছাড়া এ দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির শিল্প এবং মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানি কাজে সাফল্য অর্জনের পথ দেখান জিয়াউর রহমান। শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠায় বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং ব্যাপকভাবে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করেছিলেন।
জিয়াউর রহমান মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের একটি বিশেষ ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন। আবার চীনের সঙ্গেও নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে সাফল্য অর্জন করেন। তিনি দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের জন্ম দিয়েছিলেন। আরও নানা কাজে হাত দিয়েছিলেন জাতীয় উন্নয়নে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। যদিও ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে সব কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধা ও কর্মবীর এই জাতীয়তাবাদী নেতাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেও ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তার আদর্শ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন চির অমর।
আলোচনায় সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন লন্ডন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ ,আব্দুর রব ,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রোমান আহমেদ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক তুহিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল হক, সহ আইন বিষয়ক সস্পাদক মোঃ শাহনেওয়াজ, সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো: মোমিন মিয়া, সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক জমির আলী, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লাল মিয়া, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রুমেল আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ আতাউর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন্নহার সাহানা, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ওমর গনি, মাহমুদ হোসেন সুজন. নুরুল ইসলাম মধু মিয়া, রাজ মাসুদ ফরহাদ, কাজী মুনীর হাসান, মো: শরিফুল ইসলাম, আকছার আহমদ, মির্জা জয়নাল আহমদ, সাঈদ আহমদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত হোসেন চৌধুরী, নাদের আহমদ, মো: হেদায়েতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, কামরুন ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ রহমান আলী, মোঃ রুহুল আমীন প্রমুখ।
সভার শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা সহ বিশ্ব মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া পরিচালনা করেন লন্ডন মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ।