রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়গুলো আগে অনেক বিচলিত করতো, এখন করে না। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে কেবল একটা শ্রেনীই বিচার পেতে পারে, অন্যরা পারে না। এটা এখন সবাই জানে। তাই বিচারহীনতার সুযোগে যে কেউ, যে কাউকে খুন করতে পারে। ইন্ডিয়ার অত্যাচার স্বাধীনতার আগে আর পরে সম ভাবে চলছে। স্বাধীনতার আগে বিহারী কতৃক, এখন সমগ্র ইন্ডিয়ান হিংস্র মানুষ গুলো বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ পোষ্ট গুলোতে নিয়োগ দিয়ে। আমরা তো এখন সম্পূর্ণ ওদের হাতে জিম্মি আগে যদিও পুরোপুরি ছিলাম না। বরং বিচার চেয়ে কিছু লিখতেই এখন ভয় পাই। কিছুদিন আগে ছাত্র শিবিরের একটা ছেলেকে পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে পৈচাশিক নির্যাতন করে হাত কেটে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছিল। কিছু লেখার সাহস পাইনি।
এখন দেশে কোন জোয়ান নেই, আছে শুধু ধ্বজভঙ্গ ইয়াবা খোর। মাদক নিয়ে ঘরের কোনে বসে বসে ঝিমায়,—-এরা ছাত্র দল, যুবদল।ধর্ষনেও এদের নাইকো শকতি, মৃত্যু আফিমে পড়েছে ঝিমিয়ে।এরা শুধু পদ প্রত্যাশী। আর আছেন বিরাট বিশাল এক বট বৃক্ষ ; দেশের মাটিতে যাঁর শিকড় নেই।তাঁর যোগ্যতা উত্তরাধিকারের যোগ্যতা।দেশের প্রবীন প্রাজ্ঞ বিএনপি নেতাদের উপড়ে তাঁকে ছটা ঘুড়াতে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি হত্যাকেই এখন সমর্থন করার লোক আছে। নিহতের দিকে আঙুল তোলার লোক আছে। নিহতের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক পরিচয়কে পুঁজি করে বিচার চাওয়া বা প্রতিবাদ করা লোকদের স্টিগমাটাইজ করার জন্য সম্মিলিত গোষ্টি আছে।
সবচেয়ে বড় কথা, হত্যাকারীর ধর্ম, রাজনৈতিক পরিচয়কে সামনে এনে হত্যাকারীকে আড়াল করার মত আইন প্রয়োগকারী আছে।
কী লাভ এসব নিয়ে লিখে? ঢের ভাল ঘরে বসে বসে BTV দেখা।কোন টেনশান নাই।।দেশে কোন সন্ত্রাস নাই,দেশে আইনের শাসন আছে,দেশ উন্নয়নের জোয়াড়ে ভাসছে।খালি একটা শ্রেনী দেশের কত্তা পরিবার কে মেরে ফেলার ষরযন্ত্র করছে।এদের ধরে শাস্তি দিতে পারলেই দেশে আইনের শাসনের ১৬ কলা পুরন হয়ে যায়।।