নির্দোষ ছাত্র ছাত্রীদের উপর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর অমানবিক নির্যাতনের চিত্র গুলো দেখে আমার ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতার কথা মনে পরে যায়। এই নিপীড়ন পাক হায়েনাদের পাশবিকতাকেও হার মানাবে।
কিন্তু, আল্লাহর কসম! আর বসে থাকতে রাজি নই! ঐ তাগুত হাসিনার প্র্রতিটা জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানতে হবে! ঐ ছাত্রলীগ নামক জানোয়ারদের দেহ থেকে মাথাকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে! পুলিশ বাহিনী নামক মুরতাদ বাহিনীর প্রতিটা হত্যার বদলা নিতে হবে! আজ এদেশ মানুষের মত দেখতে কিন্তু ভেতরে জানোয়ারের আত্মাবহনকারী বিবেক বিবর্জিত শয়তানদের কবলে! ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এই দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও এ ধরণের সংগঠন এবং আরেক বৈধ(!) সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী বর্বরোচিত হামলা করে! কিশোর শিক্ষার্থীদের উপর এরূপ হামলার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া বিরল। ঐ সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনীসহ সরকারের সন্ত্রাসী মন্ত্রীরা বেশ কিছুদিন থেকেই ছাত্রদের উপর হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল। মাঝে মাঝে রক্তাক্ত করেছে অনেককে। কিন্তু, আজকের ঘটনা অন্যরকম! আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করতে পূর্ব থেকেই পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে বলে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরো কিছু মন্ত্রী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী একটি বৈঠক করে ছাত্রদের উপর হামলা করার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে। সেখানে তাদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাদের থাকতে আহ্বান জানায়। এরপর পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক কিশোর শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায় ঐ যৌথ সন্ত্রাসী বাহিনী। রক্তাক্ত ছাত্রদের পরে থাকতে দেখা যায় রাস্তায়। কাউকে জবাই করা হয়েছে এমনও তথ্য এসেছে। আবার, অনেক ছাত্রীকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করেছে ঐ সন্ত্রাসীরা। আর কিছু লিখতে পারতেছিনা, হৃদয় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে!
হে পাক পরওয়ারদিগার! নিপীড়নের শিকার এই নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর আপনি রহম করুন। হে খোদা! এই খুনি শেখ হাসিনা এবং তাঁর তাঁবেদার সরকারী বাহিনী গুলোর হাত থেকে বাঙ্গালীদেরকে আপনি হেফাজত করুন। হে দয়াময়! শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনই যেন বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম করার সুত্রপাত করে দেয়। এই আন্দোলনকারীদের ইসলাম ধর্মের হয়ে আমরণ সংগ্রাম করার সুযোগ করে দিন। আমীন।



