Monday, March 8, 2021
Nationalist View
  • প্রচ্ছদ
  • সারাদেশ
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • শিক্ষাঙ্গন
  • প্রবাস জীবন
  • UK BNP
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
    • বিনোদন সংবাদ
    • চাকুরী
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • মতামত
No Result
View All Result
Nationalist View
No Result
View All Result

নিঃসংগ যুবকের মনোস্তাত্তিক যুদ্ধঃ প্রথম পর্ব

রেহান by রেহান
April 17, 2014
in চিন্তাভাবনা, প্রবন্ধ
Share on FacebookShare on Twitter

আজকের বিকালটা একটু অন্যরকম; কেমন জানি একটা গুমোট, মন খারাপ করা পরিবেশ। বারান্দার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে খুব মনোযোগ দিয়ে পাড়ার বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা দেখছে সকাল। ছয় তলার উপর থেকে ক্রিকেট খেলা দেখে বেশ ভালোই আনন্দ পাচ্ছে সে। কিন্তু তার নিচে নেমে রাস্তায় যেতে ইচ্ছে করছে না। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যায় না সে। এ কারনে তার বন্ধু-বান্ধব এর সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে নেই এর কাছাকাছি চলে গেছে। এতে তার বিন্দুমাত্রও আক্ষেপ বা ভ্রুক্ষেপ নেই। সে একা থাকতেই পছন্দ আর স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এ ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়। কারো সাথে মিশতে ভালো লাগে না বলে সে ঠিকমত ইউনিভার্সিটিতেও যায় না। গেলেও কাজ বা ক্লাস শেষ করে দ্রুত বাসায় ফিরে আসে। মা রাবেয়া খাতুন ব্যাপারটা খেয়াল করছেন বেশ অনেকদিন ধরেই, কিন্তু সকাল এর সাথে তিনি কখনো জোর করেন না। তিনি শুধু জানতে চেয়েছেন কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। কিন্তু সকালের কাছ থেকে তিনি এখন পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য কোন উত্তর পাননি। তাই তিনি একটু চিন্তাগ্রস্ত। সকালের বাবাকে জানিয়েছেন তিনি ব্যাপারটা। সবুর সাহেব সরকারী চাকুরে। ছেলের এ বিষয়টা কে তিনি খুব একটা আমলে নিয়েছেন বলে সকালের মা রাবেয়া খাতুন মনে করছেন না। সবুর সাহেব তার স্ত্রীকে একবার শুধু জিজ্ঞেস করেছেন, সকাল নেশা-টেশা করে কিনা। সকালের মা উত্তরে বলেছেন আমার ছেলে সিগারেট পর্যন্ত খায় না- আপনি এসব কি বলছেন। সবুর সাহেব স্ত্রী কে আস্বস্ত করে বলেছেন- এ বয়সে এমন একট আধটু উলটাপালটা হয়-ই, এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে; তুমি এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করো না।

সকাল সুস্থ সবল ছেলে; ছাত্র হিসেবেও কম মেধাবী নয়। বেশ কিছু বছর যাবত সে নিজেকে একটা গন্ডির ভেতর আটকে ফেলেছে। সে নিজে নিজেই একটা জগত তৈরি করেছে, সেখানে সে একাই বিরাজ করে; সেখানে অন্য কারো উপস্থিতি সে একদমই সহ্য করতে পারে না। সে নিজের তৈরি জগতটাতে খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করছে ব্যাপারটা আসলে এমন নয়। প্রতিনিয়ত একটা উদ্ভট ভাবনা তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সে এটা থেকে পরিত্রানের কোন পথ খুজেঁ পাচ্ছে না। ব্যাপারটা সে কারো সাথেই শেয়ার করেনি, এমনকি মায়ের সাথেও না। সে খুব ভালো করেই জানে এটা বলার মত কোন বিষয় নয়। কেউ শুনলে ভাববে সকাল মানসিক বিকারগ্রস্থ। সকাল তাই মনে করে। মা কে কয়েকবার বলতে যেয়েও বলতে পারেনি সকাল। সে মনে করে এই পৃথিবীতে সে এমনটা একাই।

বছর পাচেঁক আগের কথা। রাত প্রায় তিনটা। সকালের ঘুম ভেঙ্গে গেছে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে। ঘুম ভাঙ্গার পর সে আর স্পষ্ট করে কিছু মনে করতে পারছে না কি দেখেছে স্বপ্নে। এমনটা তার এই প্রথম না। মাঝে সাঝেই হয়। সকাল বিছানা থেকে নেমে এক গ্লাস পানি খেয়ে বারান্দায় গিয়ে বসে রইল। আজ সে আর ঘুমাবে না। সে অন্যরকম কি যেনো একটা অনুভব করছে, নিজেও স্পষ্ট করে বুঝতে পারছে না ব্যাপারটা আসলে কি। আজকের রাতটা অন্য সব রাতের মতই, কিন্তু তার জন্য একেবারে অন্যরকম। বারান্দায় হেলান দিয়ে বসে সে নিজের হাত পা এর দিকে তাকাচ্ছে বার বার। তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, ঘরে ঢুকে আরো এক গ্লাস পানি খেল সে, তারপর আবার বারান্দায় এসে বসল। সে তার বাম পা দিয়ে দেয়ালে জোরে জোরে আঘাত করছে, লাথি মারছে। সে নিজেও বুঝতে পারছে না তার ভিতরে কি কাজ করছে। সে স্থির হতে চাইছে, পারছে না। আবারো সে দেয়ালে কয়েকটা লাথি মারল জোরে। সে অনুভব করছে তার বাম পায়ের হাটুর নিচের অংশটুকু তার নয়। এটা অপ্রয়োজনীয় একটা অংশ তার শরীরের। বাড়তি একটা জিনিস সে বয়ে বেড়াচ্ছে। এটা কোন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এটা অবচেতন মনের কথা নয়। সে যা ভাবছে, যা অনুভব করছে সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কেই। সকাল ট্রাউজার উঠিয়ে তার বাম পায়ের হাটুর নিচের অংশটুকু বারবার দেখছে, আঘাত করছে, নখ দিয়ে চিমটি কাটছে। সবই ঠিকঠাক। আগের মতই। অন্য আট দশটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের মতই রিয়েকশান। কিন্তু সে এ বিষয়ে নিশ্চিত যে তার বা পায়ের অই নিচের অংশটুকু তার নয়। সে ভেবে পাচ্ছে না এমনটা সে কেনো অনুভব করছে। বারবার তার গলা-বুক শুকিয়ে যাচ্ছে। সে ঘরে ঢুকছে, বারান্দায় যাচ্ছে। বাম পা দিয়ে মেঝেতে আঘাত করছে। সকালের জায়গায় অন্য কোন ছেলে হলে হয়তোবা পুরো বিল্ডিং এর লোক জড়ো করে ফেলতো এতক্ষনে। কিন্তু সে এখন পর্যন্ত মা কেও ডাকেনি। সকাল ছোটবেলা থেকেই একটু বেশি আত্নকেন্দ্রিক। তার অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ খুব কম। সে ভাবে অনেক কিছু, কিন্তু প্রকাশ করে কম। ওয়াশরুমে গিয়ে মাথাটা ভিজিয়ে আবার বারান্দায় গিয়ে বসল সে। সে মাথা ঠান্ডা করে আবারো ভাবতে চাইছে।

চলবে…

Tags: মনোস্তাত্তিক যুদ্ধ
Previous Post

অদৃশ্য মানবী………

Next Post

নিঃসংগ যুবকের মনোস্তাত্তিক যুদ্ধঃ দ্বিতীয় পর্ব

Next Post
আওয়ামীলিগের স্বার্থপরতা

নিঃসংগ যুবকের মনোস্তাত্তিক যুদ্ধঃ দ্বিতীয় পর্ব

Recent

প্রহসনের নির্বাচন আর কত দিন চলবে!?

September 1, 2020

বিচার বহির্ভূত হত্যার দায় কারা নেবে?

August 31, 2020

করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের দুর্নীতি

August 30, 2020

Categories

  • English Articles (5)
  • Featured (426)
  • Sangramtv Show ‘এসময় বাংলাদেশ’ (1)
  • somo-samoik (1)
  • STV ENGLAND (6)
  • UK BNP (65)
  • UK emergency (3)
  • Uncategorized (15)
  • Video (5)
  • অন্যান্য (41)
  • অন্যান্য (91)
  • অ্যান্ড্রয়েড (3)
  • আইসিটি (1)
  • আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস (6)
  • আন্তর্জাতিক (15)
  • ইসলামিক (73)
  • কবিতা (13)
  • খেলাধুলা (4)
  • গল্প! আসল গল্প!না (2)
  • গুম-খুন-হত্যা (1)
  • চাকুরী (1)
  • চিন্তাভাবনা (19)
  • চিন্তাভাবনা (28)
  • জাতীয় সংবাদ (90)
  • জীবনের গল্প (9)
  • ডি জি এফ আই (1)
  • তথ্য ও প্রযুক্তি (2)
  • দুর্নীতি (6)
  • ধর্ম (2)
  • ধর্ম ও দর্শন (3)
  • ধর্মীয় চিন্তা (2)
  • পাঠক কলাম (22)
  • প্রবন্ধ (450)
  • প্রবাস জীবন (10)
  • ফিচার (4)
  • বাংলাদেশের রাজনীতি (4)
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (1)
  • বিনোদন (1)
  • বিনোদন সংবাদ (2)
  • বিশ্ব রাজনীতি (1)
  • বিশ্ব রাজনীতি (3)
  • ব্যাক্তিগত কথন (4)
  • ব্লগ (21)
  • ভিডিও গ্যালারী (3)
  • ভৌতিক গল্প (1)
  • ভ্রমন গল্প (1)
  • মতামত (5)
  • মুক্ত চিন্তা (9)
  • মুক্তিযুদ্ধ (5)
  • যুদ্ধাপরাধ (7)
  • রম্যরচনা (9)
  • রাজনীতি (135)
  • রাজনীতি (177)
  • শিক্ষাঙ্গন (1)
  • সন্ত্রাস (1)
  • সমসাময়িক বিষয় (7)
  • সমাজ চিন্তা (10)
  • সমাজ চিন্তা (34)
  • সাদাসিধে কথা (2)
  • সারাদেশ (97)
  • সাহিত্য (1)

Nationalist View – analysing Bangladeshi politics.
Copyright © 2020 Nationalist View – All rights reserved.

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • সারাদেশ
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • শিক্ষাঙ্গন
  • প্রবাস জীবন
  • UK BNP
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
    • বিনোদন সংবাদ
    • চাকুরী
    • তথ্য ও প্রযুক্তি
    • মতামত

© 2021 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.