যেখানে এখন সরকারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত রাজাকারদের হুমকী দিয়ে কথা বলার কথা সেখানে এখন রাজাকারের হুমকীর খবর দেখে আমাদের দিন শুরু করতে হচ্ছে।এর জন্য একমাত্র দায়ী আ’লীগের একটা ভুল ডিসিশন। তা হলো তাদের আইন মন্ত্রীর সাম্প্রতিক ইসলামী রাজনীতি নিয়ে এক মন্তব্য যা জামাতের জন্য শাপেবর হয়ে এসেছে। যেখানে তারা কোনঠাসা হয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছিল সেখানে এখন তারা বীরদর্পে রাজপথ কাপাচ্ছে এই ইস্যু নিয়ে।ওদিকে যুদ্ধাপরাধ বিচারের কোনো খবর নাই। তার উপর আ’লীগ সাবসিডি প্রতিষ্ঠান “চেক্টর কমান্ডারস ফোরামও” অকার্যকর হয়ে গেছে। এই সংগঠনের বিভিন্ন লোকজন এখন সরকারের মধু আহরণ কার্যক্রম তদারকি করছে, মানে নিজের আখের গোচাচ্ছে।যাই হোক গতকাল জামায়াত সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসার বিশাল মাঠ পুরা করে আশেপাশের রাস্তায় লোকে লোকারণ্য করে ফেলে। যা সিলেটবাসী তথা পুরা দেশবাসীকে হতাশ করে। এর একদিন আগে তারা ঢাকার রাজপথে তারা সরকার পতনের রনহূন্কার ছুড়ে।
ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সরকারী ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করে মাওলানা নিজামী বলেন, “আগুন নিয়ে খেলতে নামবেন না। শাহজালাল, শাহ আমানতসহ অসংখ্য ওলি-আউলিয়ার এ দেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের খায়েশ পূরণ করতে পারবেন না। জনগণ এ ইস্যুতে কিছুতেই আপস করবে না।
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে ভারতের প্রেমলীলায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকতে চান সেই ভারতেই ধর্মভিত্তিক একাধিক রাজনৈতিক দল আছে। এমনকি ইউরোপসহ বিশ্বের অন্তত অর্ধশতাধিক দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির চর্চা হয়। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। এতে হীতে বিপরীত হবে।”
মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, যে বামপন্থীরা শেখ মুজিবুর রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল সেই বামেরা আজ হাসিনার ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে। সুতরাং হাসিনার পরিণতি কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। নির্যাতন আর শাস্তির খড়্গ দেখিয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করাতে পারবেন না।আপনাদের ফাঁসির দড়িকে জুতার ফিতার মতোই মনে হয় আমাদের।আসুন আমরা এদের কে চিহ্নিত করে বিচারের ব্যাবস্থা করি।