১. কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী এটাতো ঘাদানিক (ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি) জানতো। জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামীলীগ যখন জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে তখন তিনি লিয়াজো কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার কাদের মোল্লা এবং আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছে। তখন শেখ হাসিনা কাদের মোল্লা ও তোফায়েল আহমদকে আত্মগোপনে থাকার নির্দেশ দিলে তারা এক সঙ্গেই ছিলেন। তিনি যদি এতবড় যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকেন তখন কেন আওয়ামীলীগ চুপ ছিলো। তোফায়েল সাহেব কেন তখন সংবাদ সম্মেলন করে আপত্তি জানালেন না। তখন কোথায় ছিল ঘাতক দালল নির্মূল কমিটি?? তারা কেন তখন সংবাদ সম্মেলন করে বলেন নাই কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী?
২. তিনি যদি যুদ্ধাপরাধী কিংবা হত্যাকারী হন তবে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে মামলার আগ পর্যন্ত কেন কোন মামলা বা কোন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) নেই?
৩. ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশিপ (আইআর) বিষয়ে স্নাতক করেছেন। তিনি যদি যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকেন দেশ স্বাধীন হবার পরও দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেলেন কিভাবে?
৪. তৎকালীন রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে (বর্তমান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ) সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন, পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি উদয়ন স্কুলেও শিক্ষকতা করেছেন। এতবড় যুদ্ধাপরাধী হলে কিভাবে তিনি এই সুযোগ পেলেন? কেন তাকে তখন বরখাস্ত করা হলো না??
আপনাদের বিবেকের কাছে এইপ্রশ্নগুলো উপস্থাপন করুন, দেখুন কি উত্তর পান?