বাঙালীর চরিত্র বড়ই অদ্ভুত! হুজুগে প্রবন বাঙালী স্বার্থান্বেষী ধূর্ত লোকদের তৈরি করা হুজুগের জলে ভেসে যায়। বাঙালিকে অনেকেই বলেছেন আত্মকেন্দ্রিক, সমাজবিমুখ, উগ্র, অসহিষ্ণু, নেতিপ্রবণ (কেবল প্রতিবাদ–প্রতিরোধে আগ্রহী, গঠনমূলক চিন্তায় অনীহ), তর্কপ্রবণ, রঙ্গপ্রিয়, ভোগলিপ্সু, কর্মকুণ্ঠ, অলস, ভীরু, ভাবালু। কথা কিন্তু মিথ্যা নয়। এরা মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ না করে উপদেশ দেয় ডেঙ্গু হলে কি কি করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই সংক্রান্ত নানা সত্য মিথ্যা ফিরস্তি শেয়ার করে। আর এখন সারা দুনিয়া যখন করোনা মহামারি নিয়ে উদ্বিগ্ন তখন করোনা ভাইরাস বহনকারী রোগিকে এয়ারপোর্টেই না ধরার ব্যবস্থা করে উল্টো করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার পদ্ধতি শেখাচ্ছে!
মালয়েশিয়ায় কোন রোগি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে যাবার পর যদি ডেঙ্গু ধরা পড়ে, তাহলে প্রথমেই তারা সেই রোগির কর্মস্থল ও বাসস্থানের ঠিকানা সংগ্রহ করে। তারপর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ঐ এলাকায় মশা মারার জন্য বিশাল বাহিনী পাঠিয়ে দেয়। চীনে করোনাভাইরাস আসার পর মালয়েশিয়া তার সবগুলো বিমান, স্থল এবং নৌ বন্দরে চেকপোস্ট বসিয়েছে। এই পর্যন্ত সে দেশে যে চারজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে, তাদের সবাই চীন ফেরত। ইমিগ্রেশনেই তাদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের শরীরে করোনা সনাক্তের সাথে সাথেই আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশে অনেক চাইনিজ কাজ করে। চীন-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত অনেকগুলো ফ্লাইট যাতায়াত করে। ভারত-মিয়ানমার হয়েও সড়কপথে চীনাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। অনেক চীনা জাহাজ বন্দরে আসে, তাই নৌপথেও আসা অসম্ভব নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- বাংলাদেশের সবগুলো প্রবেশপথে সকল ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেশে ঢোকানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি? আমার জানামতে, না। শুধুমাত্র যাদের সর্দি-কাশি আছে বলে মনে হয়, তাদের পরীক্ষা করে কোন লাভ নেই। এই ভাইরাস বহনকারীর শরীরে তাৎক্ষনিকভাবে রোগের উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে।
এমতাবস্থায় বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার হাস্যকর পরামর্শ না দিয়ে পারলে দেশের সবগুলো প্রবেশপথে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকারকে বাধ্য করুন।
এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি ২৮০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ৮০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর সবগুলো ঘটনাই চীনে ঘটেছে। চীনের বাইরে হংকং ও থাইল্যান্ডে ৮ জন করে, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় ৫ জন করে, মালয়েশিয়া, জাপান, সিংগাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ জন করে, ফ্রান্সে ৩ জন, ভিয়েতনামে ২ জন এবং নেপাল ও কানাডায় ১ জন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। যাদের সকলেই চীন থেকে এই রোগ বহন করে ঐ দেশগুলোতে প্রবেশের সময় ধরা পড়েছে।
আমার প্রচণ্ড ভয় হচ্ছে জনসংখ্যা বহুল বাংলাদেশকে নিয়ে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের দেশে ঢুকতে দিয়ে এর মধ্যেই এই ভাইরাস দেশে ঢুকে গেছে কিনা, সেই আতঙ্কে আছি। বাংলাদেশে চিকিৎসাসহ সকল খাতে যে অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান তাতে এই আতঙ্ক কে উড়িয়ে দিতে এ পর্যন্ত অফিসিয়ালি ২৮০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ৮০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর সবগুলো ঘটনাই চীনে ঘটেছে। চীনের বাইরে হংকং ও থাইল্যান্ডে ৮ জন করে, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় ৫ জন করে, মালয়েশিয়া, জাপান, সিংগাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ জন করে, ফ্রান্সে ৩ জন, ভিয়েতনামে ২ জন এবং নেপাল ও কানাডায় ১ জন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। যাদের সকলেই চীন থেকে এই রোগ বহন করে ঐ দেশগুলোতে প্রবেশের সময় ধরা পড়েছে।
আমার প্রচণ্ড ভয় হচ্ছে জনসংখ্যা বহুল বাংলাদেশকে নিয়ে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের দেশে ঢুকতে দিয়ে এর মধ্যেই এই ভাইরাস দেশে ঢুকে গেছে কিনা, সেই আতঙ্কে আছি। বাংলাদেশে চিকিৎসাসহ সকল খাতে যে অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান তাতে এই আতঙ্ক কে উড়িয়ে দিতে পারে?