সংঘর্ষ, গোলাগুলি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালেও ২ অক্টোবর ছাত্রলীগের তুহিন ও তাকিমের পিস্তল চালনায় পুরো ক্যাম্পাসে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দেয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদের সামনেই পিস্তলে গুলি ভরা এবং গুলি করার দৃশ্য মিডিয়াতে যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাতে নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে এ দু-জনের বিরুদ্ধে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় কমিটি বহিষ্কারও করেছে দুজনকে। তবুও থেমে নেই তুহিন-তাকিমের দাপট। বহিষ্কার হলেও সংগঠনের পরিচয় দিয়েই চালাচ্ছে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। রিপোর্ট করেছেন সায়েম সাবু
রাবিতে নতুন ত্রাস তুহিন-তাকিম
দীর্ঘ দুই যুগ একছত্র আধিপত্যের পর ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে অঘোষিত পতন ঘটে। ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যার মধ্য দিয়ে শিবিরকে নির্বাসনে যেতে হয়।
ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণে আসে ছাত্রলীগ। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস ও হলগুলোর কর্তৃত্ব পেয়ে ছাত্রলীগ অতি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা পায় ‘ছাত্রলীগ আতঙ্ক’। খুন, জখন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ছাত্রী নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতন কোনো কিছুই বাদ যায়নি ছাত্রলীগের হাত থেকে। একাধিক শিক্ষকও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চার বছরে চার মেধাবী খুন হয় এখানে। খোদ নিজেদের হাতে খুন হতে হয় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে। নিজ দলের কর্মী হত্যার ঘটনায় ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট বহিষ্কার হন তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
Nationalist View – analysing Bangladeshi politics.
Copyright © 2020 Nationalist View – All rights reserved.