চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি আর সিটবাণিজ্য নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের অবস্থা এখন নাজেহাল। দিনের পর দিন বাড়ছে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ছাত্রলীগ ভাগ হয়ে যাচ্ছে গ্র“প-উপগ্র“পে। অছাত্র আর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগ পরিচালিত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয় ২০০৪ সালের ২৩ জুন। সেই সময়ের রাবি শিক্ষার্থী ইব্রাহীম হোসেন মুন সভাপতি ও আয়েন উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে স্থান পাওয়াদের মধ্যে বর্তমানে ১০/১২ জন ক্যাম্পাসে অবস্থান করলেও অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব নেই। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, এবং যুগ্ন সম্পাদকসহ গুরত্বপূর্ণ পদের অধিকারীদের ছাত্রত্ব বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন ও সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের ছাত্রত্বও শেষ হয়েছে প্রায় ৫ বছর আগে। এ অবস্থায় নতুন কমিটির দাবিতে কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে প্লাটফরম হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলন ও গোপন এজেন্ডা চালিয়ে যাচ্ছে পরবর্তীতে দলে আসা সাধারণ কর্মীরা। পরবর্তীতে যারা ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যেমে ছাত্রলীগকে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা করেছে তাদের অনেকের ছাত্র জীবন শেষ হয়ে এলেও নতুন কমিটি না হওয়ায় একঅর্থে দলে তাদের কোন স্থান হচ্ছেনা।
আবার মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগে প্রচুর নতুন মুখের আবির্ভাব হয়েছে। পুরাতন নেতারাও নাকি তাদের চিহ্নিত করতে পারেননা। এ সুযোগে ছাত্রশিবিরের সদস্যরা ছাত্রলীগে জায়গা করে নিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সুষ্টি করছে বলে অনেক ছাত্রলীগনেতা মনে করেন। এরকমই একজন ভাষা বিভাগ (ফার্সী) থেকে এম.এ পাশ করা আজমল হক তুহিন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজমল হক তুহিন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সক্রিয় ছাত্রশিবির করত। সেই সময় জামাত সমর্থিত শিক্ষকদের সহায়তায় সে অনার্স-মাস্টার্স উভয়ে প্রথম শ্রেনী লাভ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তুহিন ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করন শিক্ষক হওয়ার চেষ্টা কনরছ বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগেরই একাধিক নেতাকর্মী।
ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন এবং সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষকে ব্যক্তিগত ঘটনা দাবি করে বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে ব্যক্তিরোষের কোন সম্পর্ক নেই। কমিটির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, কেন্দ্র থেকে অনুমতি পেলেই আমারা কমিটি গঠনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবো।
Nationalist View – analysing Bangladeshi politics.
Copyright © 2020 Nationalist View – All rights reserved.