সিলেট প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল এবং সিলেট বিএনপি পরিবারকে দালালদের হাত থেকে রক্ষা করার দাবিতে শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে নগরীর মিরাবাজার থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিরাবাজারে জমায়েত হয়। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের নিয়েই অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিরাবাজার থেকে শহীদ মিনার অভিমুখী মিছিল শুরু করে।
পরে নয়াসড়ক পয়েন্টে সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন রায়হানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা অবিলম্বে যুবদলের বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছেন- সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী এজেন্টদের ইশারায় পুলিশ আজকের এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেছে। সিলেট বিএনপি এখন দালালদের খপ্পরে। বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠনের মাধ্যমে সিলেট বিএনপি পরিবারকে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং গণতন্ত্র পূণরূদ্ধারের সংগ্রাম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্রের নাগপাশ চিহ্ন করে সিলেট বিএনপি পরিবারকে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
বক্তারা বলেন- অবিলম্বে যুবদলের কমিটি বাতিল করতে হবে। অন্যথায়- সিলেটের হাজার হাজার নেতাকর্মী একযুগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা ১৯ বছর যুবদলের ব্যানার নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করল তাদের কাউকেই নবগঠিত কমিটিতে রাখা হয়নি। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান স্কাইপির মাধ্যমে সিলেট জেলা বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন- বিএনপির কমিটিতে যারা আছেন তাদের কাউকেই অঙ্গ সংগঠনের কমিটিতে রাখা হবে না। অথচ নবগঠিত যুবদলের ৩ শীর্ষ নেতা জেলা ও মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। যা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত ও সংগঠনের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, বিএনপি নেতা সৈয়দ জয়নুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাকিল মুর্শেদ, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মতিউল বারী খুর্শেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মওদুদুল হক মওদুদ, মহানগর যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ তুহেল, যুবদল নেতা কুহিনুর আহমদ, যুবদল নেতা আব্দুশ শুকুর, আলা উদ্দিন আলাই, দিলোয়ার হোসেন দিলু, মন্তাজ হোসেন মুন্না, মহানগর বিএনপির সদস্য শফিকুর রহমান টুটুল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান দীপু, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহিদুল ইসলাম কাদির, আবুল খায়ের, রিনুক আহমদ, মিফতাউল কবীর মিফতা, জয় দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত, রুজেল আহমদ চৌধুরী, ফয়জুল ইসলাম পীর, জয়নাল আবেদীন, শাকিল আহমদ, নুরুল হুদা দিপু, আলতাফ হোসেন বিলাল, খালেদুর রশীদ ঝলক, আজিজুল হোসেন আজিজ, তছির আলী, আব্দুল হান্নান, রাহাত রখত রাক্কু, হাজী মামুন আল রশিদ হেলাল, ইকবাল কামাল, মুহিবুর রহমান মুহিত, আবু আহমদ আনসারী, আব্দুর রউফ, শফি আহমদ খান, মাহবুব আলম, আলী আব্বাস, মুহিন আহমদ, সুহেল রানা, দিলদার হোসেন শামীম, আবুল কালাম, সিদ্দেক আলী, মিজানুর রহমান ডিপজল, নাজিম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, দেওয়ান নিজাম খান, আব্দুল খালিক মিল্টন, টিটন মল্লিক, একরাম হোসেন, ইন্তেজার আলী, জাসাস নেতা রায়হান আহমদ পাবন, ছাত্রদল নেতা বদরুল আজাদ রানা, লাহিন চৌধুরী, ইমরানুল হক জাসিম, দেলোয়ার হোসাইন, আবু ইয়ামিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, আফজল হোসেন মুন্না, আনোয়ার হোসেন খান, মনির মুন্সি, মুহাইমিনুল ইসলাম সুহেল, সাহেদ আহমদ, নুরুল আলম বাবলু, প্রিন্স আহমদ, খালেদ আহমদ, রুমেল আহমদ, নুরুল আমিন, আব্দুল মজিদ, আফজাল হোসেন, সেলিম মিয়া, সাকিল আহমদ খান, আহমদ শাহীন, রায়হানুল হক, রুশন খান, জাহেদ আহমদ, সেলিম আহমদ, আলী আহমদ, মন্টু কুমার নাথ, বাবুল মিয়া, আঙ্গুর আলম, চমক আলী, জাহাঙ্গীর আহমদ চৌধুরী, দুলাল আহমদ, ইসমাইল হোসেন শিপার, মিজান আহমদ প্রমুখ।