বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশের গোয়েন্দা সংস্থ্যাগুলো তাদের শত্রু তো বটেই মিত্রদেশের নেতাদের বিভিন্ন দুর্বলতার ঘটনাগুলোর উপরও ফাইল তৈরী করে রাখে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে কার্যসিদ্ধির জন্য। এই পদ্ধতির সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুই’ই আছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ সুকর্ণকে হানিট্রাপ দিয়ে ব্লাকমেইল করার ব্যর্থতা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হাস্যকর ব্যর্থতা। সুকর্ণর সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের সুসম্পর্ক ছিল। প্রথমে নিকিতা ক্রুশ্চেভ ইন্দোনেশিয়ে বেড়িয়ে গেছেন, তারপর সুকর্ণ গেছেন সোভিয়েত ইউনিয়নে। সুকর্ণর প্লেবয় ইমেজ সম্পর্কে কেজিবি জানতো। তাই সুকর্ণর বিমানে তার যত্ন-আত্মি করার জন্য কয়েকজন সুন্দরী কেজিবি নারীকে পাঠিয়েছিল। সুকর্ণ তাদের সেবায় মুগ্ধ হয়ে তাদেরকে রাতের বেলা নিজের হোটেল স্যুটে দাওয়াত দেন। অতপর ৫জন নারীকে তিনি নিজের পৌরুষ উজার করে দেন। পুরো ঘটনাটি বেডরুমের দুইটি ঢাউস সাইজ আয়নার পেছনে লুকিয়ে কেজিবির ক্যামেরাম্যানরা সেলুলয়েডে ধারণ করেন।
অতপর: সুকর্ণ ফেরার আগেরদিন তাকে একটি প্রাইভেট সিনেমা হলে নিয়ে গিয়ে তার অভিনীত এক্স রেটেড মুভিটি দেখানো হয়। কেজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সুকর্ণের মুখের দিকে তাঁকিয়ে ছিল, তার প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সুকর্ণ তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, “আমার তো জানাই ছিল না, আমি এতটা সক্ষম! আপনারা কী এই মুভির আরো কয়েকটি কপি আমাকে দিতে পারবেন? আমি দেশে ফিরে সিনেমা হলে এগুলো প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করবো। একসাথে এতগুলো রাশিয়ানকে আমি ইয়ে করেছি (F ওয়ার্ড) এটা দেখলে আমার দেশের জনগণ আমার উপর অনেক খুশি হবে”। এই কথা শোনার পর কেজিবির কর্মকর্তাদের চেহারা দেখতে কেমন হয়েছিল, কল্পনা করার চেষ্টা করছি।
আমাদের এরশাদ সাহেবেরও এমন একটি ঘটনা আছে। বোম্বের এক নামকরা নায়িকাকে তার সেবায় নিয়ে আসা হয়েছিল। কথা ছিল বরাবরের মত তিনি অভিসার করবেন সিএমএইচ এ তার ভিআইপি কেবিনে। কিন্তু ঐ হট নায়িকা কিছুতেই ক্যান্টনমেন্টে যাবেন না, তিনি সোনারগাঁ ছাড়া অন্য কোথাও উঠবেন না। শেষে রিপুর টানে এরশাদ গেলেন হোটেল সেনারগাঁতে। যে স্যুইটে তারা রোমাঞ্চ করলেন, সেটি দুইদিন আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছিল ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্মকর্তা। ঐ ভিডিও এখনো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থ্যার কাছে মজুদ আছে বলেই এরশাদ সাহেবকে তারা যখন তখন নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে পারে। (আফসোস! সামরিক শাসক হয়েও এরশাদ সুকর্ণর মত সাহসী হতে পারেন নাই)।
শফিক রেহমানের বাসা থেকে সজিব ওয়াজেদ জয়ের উপর তৈরি এফবিআই’র কিছু ডক্যুমেন্ট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জয় সাহেব নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বোঝা যাচ্ছে, এফবিআই জয় সাহেবের এমন কোন গোপন তথ্য ফাইলবন্দি করেছিল, যা পেতে ৩০হাজার ডলার ঘুষ দেয়া যায়। কী সেই তথ্য, তা আমরা কোনদিনও হয়তো জানতে পারবো না। কেবল জয় সাহেবের দেয়া লিংকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সংক্রান্ত একটা তথ্য পেয়েছে সবাই। ডলারগুলো কার, কিভাবে কোথায় গেছে, কেন এই ডলারের খবর এফবিআই ফাইলবন্দি করেছে, তা কারো পক্ষে জানা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। যেহেতু জয় সাহেবও এরশাদ সাহেবের মতই ভীতু, তাই এফবিআই এই ফাইল দেখিয়ে আরো ৫০ বছর বাংলাদেশকে চুষে খেতে পারবে।
জয় বাংলা!