শেষ যাত্রা যেখানে ডাক্তার, পুলিশ আর সেনাবাহিনীর সাথে। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা,ও স্যালুট জানাইয়ে আমার আজকের লিখার সূত্রপাত ছিলো।
কতদিন ধরে করোনা মোকাবিলা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাকে নয় গোটা বিশ্বকে করেছে ঋণী।সবার একটাই দোয়া আল্লাহ যেনো তাদের সুরক্ষায় রাখেন।
অন্য দিকে মহামারী করোনার প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্ব স্হবির ঠিক সেই সময় একদল সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজ, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, চেয়ারম্যান, মেম্বার,ছাত্রলীগ রিজার্ভ ফান্ডের গুদামজাত চাল চুরির মহাদামকা।
আফসোসের বিষয় সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল এখনো এলাকায় পৌছাঁইনি।
কিন্তু কাবিখার চাল,রিজার্ভ ফান্ডের চাল, দলীয় নেতা কর্মীর ঘরে ঘরে বস্তায় বস্তা।
সাথে সার্পোট দিচ্ছে কিছু দূর্নীতিবাজ পুলিশ।
যাদের কারণে আজ হাজারো পুলিশ অফিসাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ধূলোয় মিশে যাচ্ছে।
একটা থানায় সর্বোচ্চ গৌরবের স্হান হলো ওসির চেয়ার।
সেই চেয়ারে বসে এমন বাজে ব্যবহার দিতে পারে আমার বোধগম্য নয়।
আমার ভাবতে ও ঘৃণা হয়।
আপনারা হলেন জনগণের সেবক, জনগণের জানমালের রক্ষা করার অঙ্গিকারে এই পুলিশের পোষাক পরিধান করেছেন।
মনে প্রাণে থাকবে সততা। সেই আপনারা যদি চোরদের পক্ষে থাকেন তাহলে জনগণ কার কাছে বিচার চাইবে বলতে পারেন??
একজন চোরের অপকর্ম যদি সাহস করে সোস্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরে তাহলে তো সে সরকারের সহযোগীতা করলো।
এটা কিভাবে সরকারের বিপক্ষে গেলো??
তাহলে কি জনগণ ধরে নিবে সরকার চায় চেয়ারম্যান মেম্বার চাল চুরি করে বাড়ী- গাড়ী করে আয়েশ জীবন যাপন করুক।
তা না হলে একজন ইউনিভার্সিটি পুডুয়া জানেআলম অপুকে কিভাবে একজন গণ- প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এমন বাজে ভাষায় গালি দেয়।
একজন সাহসী ছাত্রকে এভাবে গালমন্দ এবং দশ মিনিটের মধ্যে তার সামনে হাজির হওয়ার অর্ডার জাতিকে লজ্জিত করেছে।
জানে আলম আমাদের সন্তান তাই প্রতিবাদ হউক এই দূর্নীতিবাজ পুলিশের বিরুদ্ধে।
তা না হলে সরকার এবং প্রসাশন বিগত দিনের মত বিপদে পড়ে যাবে।
১৯৭১ এর আন্দোলনের মহান নেতা সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার কন্ঠস্বর ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন প্রসংশার দাবীদার।১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সাল স্হান ঢাকার পল্টন ময়দান লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবের শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিবাদ।
তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাত্র আটমাস।
কিন্ত ততক্ষণে তিনি ক্রোধাম্বিত জনতার সমালোচনার লক্ষ্য বস্তুরে পরিনত হয়ে গেছেন।
ঠিক সেই সময় প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্রনেতা প্রাক্তন মুক্তিসেনা এবং শেখ মুজিবের এক কালের সবচাইতে বিশ্বস্ত অনুগামীদের একজন আ.স.ম আব্দুর রব। তিনি সেইদিন জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন শেখ মুজিব দেশের স্বাধীনতার পর একটা কথা বলেছিলেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটা লোক ও না খেয়ে মরবেনা।
কিন্তু আজ খেতে না পেরে প্রচুর লোক মৃত্যুবরন করছে।
রোষাম্বিত জনতার আবেগে অনুপ্রাণিত হয়ে
রব তাদের অভিযোগের প্রতিধ্বনি তুলছিলো।
ঐ দিনের অভিযোগমালার প্রধান প্রধান বিষয়বস্তু ছিলো খাদ্য দ্রব্য সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম জনগণের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চতুর্দিকে কেবল ঘাটতি, বাজার সুবিধাভোগীদের হাতে, স্বজনপ্রীতি, সরকারি কর্মচারীদের দূর্নীতি, বেকারত্বের পাহাড়, গুম, ধর পাকড়,পুলিশের অত্যাচার, দায়িত্ব হীন সরকার, সংবাদ পত্রের মুখবন্ধ ইত্যাদি।
রব ঘোষণা করলো আওয়ামী লীগরা পাকিস্তানিদের চাইতে বেশী জগন্য আর দূর্নীতিবাজ।
মুজিবের উদ্দেশ্যে রব বললো, আপনি আমাদের বেপরোয়া ধর পাকড় করছেন,
আর উৎপীড়ন এর সকল যন্ত্রপাতি আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন।
আপনি কি কোন দিন কোন অস্ত্র চালিয়েছেন??
আমরা জানি সত্যিকার অস্ত্র কিভাবে চালাতে হয়।
তারপর দূর্নীতিবাজ, মন্ত্রী পরিষদ আর সরকারি কর্মচারীদের বাতিল করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
বাস্তবতার চাকা যেনো উল্টো দিকে ঘুরে গেলো।
যে মুজিব আঠোরমাস আগে পাকিস্তান সরকারের শোষণ আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বাণী ছোড়েন সে অভিযোগের বাণী আজ মুজিবের বিরুদ্ধে বুমেরাং এর মত ফিরে এলো।
এখনি সময় আওয়াজ তুলুন অপশক্তির বিরুদ্ধে।
যৌথ বাহিনী দিয়ে এদের লাগাম টেনে ধরুন।
১৪৪ ধারা জারি করুন।
লীগের দায়িত্বরতদের বাড়ী আর সম্পদের হিসাব নিন।
তাহলে সব দূর্নীতিবাজরা শেষ হবে।
(এই সংবাদটি সংগৃহীত)