নিজস্ব প্রতিবেদক: অঘোষিত যুদ্ধ চলছে অদৃশ্য অস্ত্রবিহীন সৈনিকের সাথে।
এই যেনো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
চারিদিকে জন মানব শূন্য যেনো এক কারবালা।
বিষাদ সিন্ধু দেখিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দেখিনি।
হিরোশিমা দেখিনি দেখেছি রাজপ্রসাদ গুলোর বড় বড় প্রাচীরকে সৈন্য দিয়ে ঘেরাও করে রাখতে। নিরাপত্তার জন্যে। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রাজ দরজা পাহারা দিতে,
এই যেনো এক প্রাণহীন মূর্তি।
গুটি কয়েক উপস্থিতির সারা শরীর তল্লাশি তারপর গেইট পাস দেখিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি।
প্র্যতেক দেশের রাজ প্রহরীদের এক জমকালো পোশাক থাকে। আর সেই পোষাকে শত্রুকে বুঝিয়ে দেয়,এত সহজ না তোমার অন্দরমহলে ঢুকা। পরিচয় গোপন করে ভিতরে প্রবেশে পা বাড়ালেই
সাথে সাথে ফায়ার। আজ এমন এক অস্ত্রবিহীন গায়েবী সৈন্য বিশ্বে হানা দিয়েছে প্রজা নয় বরং রাজা নিজেই ভয়ে আতংকিত। রাজার চিহ্ন থাকলেও উপস্হিত গায়েবী সৈন্যের কোন চিহ্ন নাই।
কি আজব ব্যপার তাইনা। প্রতিটি সুরক্ষা ইট পাটকেলের দেয়াল এখন ভয়ংকর এক অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণে থাবা।
আজ রাজ্য আছে, রাজাও আছে, প্রস্তুত
আছে শত্রু মোকাবিলা করার অস্ত্র সজ্জিত প্রহরী। কিন্তু রাজ দরবারের আঙিনায় এসে জড়ো হওয়ার মত কোন শুভাকাঙ্ক্ষী নাই।
যদিও ইলেকট্রনিক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা রাজার মুকুটের মতো।
কি অদ্ভুত তাইনা।
ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যাভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্হান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু নিরবেই বিনষ্ট করে দেয় মানব শরীরের।
যা কিনা বন্দুকের নলের চেয়ে শক্তিশালী।
হে আমার রব আমাদের
কোন শক্তি নাই তোমার সৈনের সাথে যুদ্ধ করার।
অত্যাচারীত শাসকের দেশগুলো এই সৈন্যের দ্মৌরত্য বেশী। তাই তোমাদের ক্ষমতার দাম্ভিকতাকে পরিহার করে তওবা কর এবং ছেড়ে দাও বিনা দোষে কারা ভোগ করা রাজবন্দিদের।
লেখক: ফৌজিয়া খিলজি সুহেলী, লেখক ও রাজনৈতিক