নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণের সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী. ছাত্রদল তথা বিএনপি টানা তিন টার্ম ক্ষমতার বাইরে, এই তিন টার্মের মধ্যে রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে নজির বিহীন ভাবে দলীয় করন করেছে সরকার. এমনকি তাদের দলীয় করন থেকে বাদ যায়নি সেনাবাহিনীও.
যার প্রমান গত নির্বাচনে আমরা দেখেছি সেনাবাহিনীর সরাসরি সরকারের পক্ষে হস্তক্ষেপ. যা হতাশ করেছে দেশের মানুষকে.
এখন পত্রিকা খুললেই আমরা দেখি প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ছাত্রদলের একটা কর্মী খুন হচ্ছে . না হয় গুম হচ্ছে . আর হামলা মামলা তো আছেই.
গত ১২ বছরের ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে ছাত্রদলের উপর. সংগঠনটির উপর রীতিমতো স্ট্রিমরোলার. বলড্রোজার চালিয়ে ধ্বংস করার সব চেষ্টা করেছে আওয়ামীলীগ.
প্রতিটি ক্যাম্পাসে দানবের মতো চাপাতি/ রামদা/ দা হাতুড়ি নিয়ে ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের উপর নিয়মিতই ঝাঁপিয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ. আর রেব- পুলিশের ক্রসফায়ার তো আছেই.
এতো কিছুর পরেও/ এতো গুম খুন / এতো নির্যাতন নিপীড়ণের পরেও সারা বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্র সংগঠনের নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল.
এখনো নতুনদের প্রথম পছন্দ ছাত্রদল. এখনো দেশের প্রতিটি
কলেজ- বিশ্ববিদ্ধালয়ে সুনামের সাথে যারা কাজ করে যাচ্ছে তারা ছাত্রদল.
ঢাকা বিশ্ববিদ্দালয়ের কথাই ধরুন. অনেক বড় বড় হেডম দেখান রব্বানী/ সঞ্জীব / সাদ্দামরা. মনে মনে এক একজন মহাবীর. একবার ভাবুনতো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না থাকলে এইসব কাগজে বীরদের অবস্থা কি হবে ?এদের কি খুঁজে পাওয়া যাবে ?এদেরকে কি গুগলে সার্চ দিয়ে কেও খুঁজে পাবে?
অথচ আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি মেহেদী তালুকদার/ সাধারণ সম্পাদক বাসার সহ সবাই লড়াই করেই বিশ্ববিদ্ধালয়ে টিকে ছিল.
নিশ্চিত হামলা হবে জেনেও খোকন/ শ্যামল/ শ্রাবন/ মামুন/ তাহের/ হাফিজরা বার বার ক্যাম্পাসে গেছে. মার্ খেয়ে রক্তাক্ত হয়েছে পরদিন এবার ক্যাম্পাসে গেছে. কিন্তু মাঠ ছাড়েনি, দল ছাড়েনি. এটাই দলের প্রতি কমিটমেন্ট. তাদের ভালোবাসা.
বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শামীম উসমান দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলো. বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলে আবারো শামীম উসমান / রব্বানী / সঞ্জীব রা পালাবে. কারণ রাজনীতি করতে হলে সৎ সাহস লাগে. হিম্মত লাগে.
আমার দলের নেতাদের. আমার ভাই- বোনদের সেই শত সাহস আছে .সেই হিম্মত আছে আর আছে বলেই দেশ ছেড়ে পালাননি রাজীব / আকরাম/ ইসহাক সরকার. পালায়নি তাদের অনুজ মেহেদী/ শ্রাবন / খোকন / রাশেদ. জ্যাকি. রনি. সুহেলরা. নাজমুল/ রবিনরা.
এখনো মিছিলের সামনের সারিতে আরিফা রুমা. পাপন. তন্নী .মানসুরা লামলামকে আমরা দেখি.
হা এটাই বিএনপি. এটাই ছাত্রদল আমার প্রাণের সংগঠন. আমার যৌবনের প্রথম ভালোবাসা. আমি আজ গর্ব করে বলতে পারি আমি ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসা এক গর্বিত কর্মী.
প্রিয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রাণের সংগঠনের জন্য থাকলো রক্তিম শুভেচ্ছা.
পরিশেষে একটা কথাই বলবো জাতির উপর চেপে বসা এই স্বৈরশাসকদের যদি পতন হয় তাহলে এই ছাত্রদলের আন্দোলনেই হবে. তবে সে জন্য চাই ঐক্যবদ্ধ ছাত্রদল. আমাদের সে দিকেই নজর দেয়া উচিত.
এজে লিমন
কার্যনির্বাহী সদস্য- যুক্তরাজ্য বিএনপি।