নিজস্ব প্রতিবেদক: সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল culture যা ল্যাটিন colere থেকে এসেছে। যার অথ কৃষিকাজ বা চাষাবাদ। বাংলা সংস্কৃতি শব্দটি সংস্কার থেকে এসেছে, যার অথ কোন জিনিসের দোষ ত্রুটি ময়লা আবজনা দূর করে তাকে ঠিকঠাক করে পরিশুদ্ধ করা।মানুষের চিন্তা-চেতনা, আচার-আচরণ, জীবনযাত্রা, পোশাক, ভাষা, সাহিত্য, মূল্যবোধ, নৈতিকশিক্ষা, খাদ্যাভাস, ইতিহাস, রাজনীতি, অথনীতি সবাই তার সংস্কৃতি। মানুষ তা ধারণ ও চচা করে তাই তার সংস্কৃতি। বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি থাকে। দেশভেদ সময়ভেদে সংস্কৃতির পাথক্য ঘটে।
আগ্রাসনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল aggression যার অথ বিনা উস্কানি ছাড়া আক্রমন। কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া দেওয়া অথবা কতৃত্বভাবাপন্ন বা অন্যায়ভাবে কোন কিছু গ্রাস বা দখল করকে আগ্রাসন বলে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলতে বোঝায়কোন সংস্কৃতিকে জোর করে গ্রাস, নিয়ন্ত্রন বা ধ্বংস করা। কোন একটি দেশের একক সংস্কৃতি যখন অন্যান্য সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় এবং অন্য সংস্কৃতির স্থান যখন সেই সংস্কৃতি নিয়ে নেয় তখন আমরা একে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলতে পারি। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে বলা হয় সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ইতিহাস:
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা হঠাৎ করে আসে নাই। এ ধরণটা আসে পুজিবাদের ধারণা থেকে। সমান্তবাদী সমাজ থেকে যখন মানুষ পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা প্রবেশ করে। তখন পুজিবাদীরা চিন্তা করল। পুজির বিকাশ হবে না যদি তাদের সংস্কৃতিকে সবাই অনুসরণ না করে। কারণ তাদের মত চিন্তা করতে হবে, তাদের মত ভোগবাদী হতে হতে। বিভিন্ন উৎসবকে পণ্যের উৎসব বানাতে হবে, বাজার বৃদ্ধির জন্য সব কিছু বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতির ঘৃনা করে পুজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের সংস্কৃতি শ্রেষ্ঠ মনে করে তার চচা করতে হবে। মূলত পণ্যের ক্রেতা বৃদ্ধি করার জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা শুরু হয়। আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের জন্য গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ফ্যাশন, সাহিত্য, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, সংগীতকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর এসব ছাড়িয়ে দেবার জন্য তারা তথ্য প্রযুক্তি, উন্নয়নমূলক কমকান্ড বিস্তারের নামে নানা ধরণের জন্য তাদের তাবেদারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা এনজিও, বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিকে ব্যবহার করেছে। প্রতিটি দেশ তাদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসণের স্বীকার হয়েছে তাদের স্বাধীনতার পরবতী সময়ে দেশ গঠনে বিদেশি রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরণের সাহায্য বিশেষ করে অথনৈতিক সাহায্য ও ঋণ গ্রহন করে। ফলে যেটা হয়েছে এসব দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে ঠিকই তবে অথনৈতিক মুক্তি ও সংস্কৃতির পায়নি। কারণ তারা যেহেতু দেশ গঠনে এসব দেশকে সাহায্য করছে তাই তাদের সিদ্ধান্ত ও সংস্কৃতিকে এসব রাষ্ট্রে অনুসরণ করতে হয়েছে। এভাবে বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, সোমালিয়াসহ এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিন আমেরিকার বিভিন্ন অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো আজ সাম্রাজ্যবাদীদের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের স্বীকার।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণটা কি?
এর মূল কারণ হল অথনৈতিক সমৃদ্ধি অজন করা। তবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করাও আরেকটি কারণ। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দ্বারা নব্য উপনিবেশ স্থাপন করা। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দ্বারা সাম্রাজ্যবাদকে টিকিয়ে রাখাও এর বড় কারণ। কারণ সবাই তাদের মত চিন্তা করলে, আচারণ করলে, ভোগবাদী হলে সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখা সহজ হবে। আর একটি দেশকে অথনীতি ও রাজনীতি দ্বারা দীঘমেয়াদী প্রভাবিত করা যায় না। সংস্কৃতি দ্বারা দীঘ মেয়াদে প্রভাবিত করা যায়। অনেক সময় প্রভাবিত করতে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয় না। কারণ তাদের দেশীয় প্রতিনিধিরা তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে। দেশের মানুষ বেশি বেশি করে তাদের বিদেশী সংস্কৃতিকে চচা করে তাদের মত হতে চায়; এটাকেই সভ্যতা, আধুনিকতা মনে করে। নিজস্ব চিন্তা চেতনা, রীতি নীতি আর ভাল লাগে না। মানুষ তখন চিন্তা করে বিদেশী সংস্কৃতি দ্বারা। বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা এদেশের নাগরিক হলেও চচা করতে চায় পশ্চিমা বিশ্বে সংস্কৃতি। তাদের মনকে পরিচালিত করে আমেরিকা আর সেই মনকে টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের জিনিস ব্যবহার করে। বাংলাদেশে জন্ম; বেড়ে ওঠা, মায়ের ভাষা বাংলা, জাতি হিসেবে বাঙ্গালী তারপরও তারা দেশকে ভালবাসতে পারে না ভালবাসে পশ্চিমা সংস্কৃতিকে। মানুষের চিন্তা চেতনা, আদশকে নিয়ন্ত্রন করার জন্যই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রভাব:
যে কোন আগ্রাসন হোক তার প্রভাব কখনই ভাল নয়। আর তা যদি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন হয় তবে তা হয় আরও ভয়াবহ। কারণ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা বার বার প্রয়োগ করতে হয় না। একবার কোন সমাজ বা দেশকে সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত করতে পারলে রাজনৈতিক ও অথনৈতিক আগ্রাসন ক্ষেত্রে তা সহজ হয়। আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন খুবই কঠিন ও সূক্ষ্ম বিষয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালান হয় আর এধরণের আগ্রাসন মোকবেলা করতে যে সচেতনতা ও শিক্ষা দরকার এসব তাদেশথাকে না। ফলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে এসব দেশগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর সংস্কৃতি সকল কিছুর সাথে যুক্ত থাকায় এসব দেশের রাজনীতি অথনীতি ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে এসব দেশ কখনই আত্মনিভর রাষ্ট্র হতে পারে না। এসব দেশগুলোর রাজনীতি অথনীতির ব্যথতার জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিশাল ভূমিকা রাখে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা সাবভৌমত্বের জন্য হুমকি। তারা রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে গব করে নিজেদের স্বাথ রক্ষা করে। দেশ বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা সরকারকে বাধ্য করে। আর সাম্রাজ্যবাদীদের সমথন দেওয়ার জন্য তাদের তৈরি একটি দেশীয় একটি শ্রেণী আছে। তারা নিজেদের স্বাথ রক্ষার জন্য দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করতে দ্বিধা করে না আর এসব সংস্কৃতি তারা শিখেছে সাম্রাজ্যবাদীদের কাছ থেকে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সমাজে বিভক্তি তৈরি করে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে পুজিবাদীরা শিক্ষাকে ব্যবসায়ী পণ্যে পরিণত করে। তারা সমাজে কয়েক ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে আর তার মাধ্যমে জাতিকে বিভক্ত করে দেয়। সংস্কৃতির আদান-প্রদানের নামে, তারা শিক্ষার মান উন্নয়নের নামে তারা তাদের তৈরি গোলাম তৈরি করছে।তাদের মনস্ক মানুষ তৈরি করার জন্য ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে। শুধু তাই নয় তাদেরকে তাদের সংস্কৃতি নিভর করে গড়ে তোলা যায় এমন শিক্ষা দেয়। দেশের কল্যানে শিক্ষা দেওয়া হয় না। এতে একদিকে ভাল ব্যবসা করা গেল অপর দিকে তাদের সংস্কৃতির ব্যক্তি তৈরি গেল।
আজকে যদি জাতীয় স্বাথে বা গণতন্ত্রে কোন আন্দোলনের কথা বলা হয় পশ্চিমা মনস্ক এসব শিক্ষাথীদের পাওয়া যাবে না। আবার যদি বিদেশে শিক্ষা লাভের জন্য কোন সেমিনারের কথা বললে এসব শিক্ষাথীদের অভাব হয় না। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হওয়াপ্রতিটি দেশেই একই অবস্থা। আমাদের ভাবা দরকার কেন এমন হল? এর উত্তর হল বিদেশী সংস্কৃতি প্রীতি মানুষকে ঐ পযায়ে নিয়ে গেছে তারা বিদেশি সব কিছুকে ভাল, শ্রেষ্ঠ ও মান সম্মত বলে মনে করে। দেশের স্বাথের চেয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও ভোগবাদী চিন্তা করে। এসব মিডিয়ার সাহায্যে তারা মানুষের ভিতর ঢুকিয়ে দিছে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে দেশের মধ্যে দেশপ্রেমিক তৈরি না হয়ে দেশদ্রোহী তৈরি হয়েছে যারা নিজেদের স্বাথের জন্য দেশের ক্ষতি করতে দ্বিধা করে না। দেশের প্রতি তাদের কোন ভালবাসা নাই, দেশের জন্য তাদের চিন্তা ভাবনা নাই। বিদেশী রাষ্ট্রকে ভালবাসে তার সাহিত্য, ভাষা, থেকে শুরু করে খাদ্যাভাব, পোশাক, রীতিনীতি, প্রথা, নৈতিকতা, মূলবোধ বলতে গেলে সব কিছুকেই অনুসরণ করার চেষ্টা করে দেশীয় সাহিত্য, ভাষা, রীতিনীতি, প্রথা, পোশাককে বাদ দিয়ে।
এখন আমাদের শিশুরা ভারতের কাটুন ডোরেমন দেখেই হিন্দি ভাষার প্রতি তাদের ভালবাসা জন্মে যায়। ভারতের টিভি সিরিয়ালে দেখান রাশি নাটকে দেখানো পাখি ড্রেস দেখে আমরা ফ্যাশন পছন্দ করে। আমরা ক্যাটরিনা ড্রেসের কথা জানি, আমরা ধুম-২ প্যান্টের কথা জানি। কোন সংস্কৃতির প্রতি আমার বিদ্বেষ নাই। এভাবেই বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের নেতিবাচক হামলারশিকার হচ্ছে।
আজকে মাতৃভাষার প্রতি মানুষের কোন মমতা নেই, শ্রদ্ধা নেই, কোন আগ্রহ নেই। বিশ্বে এখন ইংরেজি ভাষার আগ্রসন চলছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখন সরকারি বেসরকারি কমকান্ডে ইংরেজিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি ভাষায় কারণে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সহজ হয়েছে। আর এর মাধ্যমে মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করা যায়। ইংরেজি ভাষা এখন ভাষা না হয়ে হয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণের জন্য বড় হাতিয়ার ও যোগাযোগ মাধ্যম হয়েছে। ইংরেজি ভাষার আগ্রাসন শুধু উন্নয়নশীল দেশের জন্য নয় অনেক ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার ভাষা আজ ইংরেজির দাপটে বিলুপ্ত হতে চলছে। ইংরেজি ভাষার আগ্রাসনের শিকার ইউরোপের শক্তিশালী দেশগুলোও। দক্ষিন আমেরিকায় ইংরেজি ভাষা প্রভাব বাড়তেছে। আর এশিয়া ও আফ্রিকার ইংরেজি ভাষার একক আধিপত্য।
সামাজিক সমস্যা সৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা বৃহৎ ভূমিকা রাখে। বিবাহ বিচ্ছেদ, পরিবারে বিশ্বাস না করা, অবাধ সেক্স, সমকামী এসব সমস্যা পশ্চিমা দেশ থেকেই এসেছে। তারা বিশ্বে এসব সমস্যা তৈরি করেছে।
সহিংসতাকে মিডিয়া ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেখিয়ে অস্ত্র ব্যবসাকে জমজমাট করছে। তারা যুদ্ধ ও অ্যাকশন মুভি দেখিয়ে মূলত অস্ত্রের প্রচার বা বিজ্ঞাপন দেয়। মদের বিক্রি বাড়াতে তারা মুভিকে বেচে নেয় মুভির সাহায্যে মদের বাজার বৃদ্ধি করা হয়। সাড়া বিশ্বে মদের বাজার বৃদ্ধিতে মুভির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
সেক্সকে পন্য হিসেবে মুভিতে বা বিভিন্ন সাহিত্যে দেখান হয়। সেক্স বানিজ্যও সাড়া বিশ্বে সংস্কৃতির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতির আদান প্রদানের নামে চলে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন।
আজ বিভিন্ন কানসেটের উদ্ভাবন হয়েছে তাদের হত ধরে। বিভিন্ন দিবসের প্রচলন ঘটিয়েছে তাদের পণ্যের বিক্রি বাড়ানো জন্য। ভালবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস তারা চালু করেছে। এগুলোর নাম শুনে খুশি হবার কারণ নেই। কারণ এসব দিসবের উদ্দেশ্য পণ্যের বিক্রি বাড়ানো।
সংস্কৃতির আদান প্রদানের নামে মানব আমদানি করা হয়। দুই ধরণের মানুষ তারা আমদানি করে ১.সব্বোচ্চ মেধাবী ও ২.শ্রমিক শ্রেণি। তারা সংস্কৃতির আদার প্রদানে মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা নিয়ে নিয়ে আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন করে অন্য দেশের রাজনীতি, অথনীতিকে ধংস্ব করে তারা সুবিধা অজন করে।
পরিশেষে বলা যায়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বতমান সময়ে উন্নত দেশের অথনীতি ও রাজনীতি সমৃদ্ধি অজন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের জন্য শোষনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বতমানে বিশ্ব রাজনীতি, অথনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে। তবে সে সমস্যার শিকার হচ্ছে গবীর দেশগুলোই। গরিব দেশগুলোর পক্ষে থেকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবেলা করার কথা বলা হয় আর ধনী দেশগুলো সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের নামে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য একে ব্যবহার করে। এভাবেই গবীর ও ধনী উভয় দেশগুলোর জন্যই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন গুরুত্বপূণ হয়ে উঠেছে।