নিজস্ব প্রতিবেদক: নুরুল হক নুরুল আলো চড়াচ্ছেন! আলোর দিশারি হয়ে এসেছেন সাধারন ছাত্রজনতার মাঝে, বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে পরিচিত নাম, সব চেয়ে জনপ্রিয় ছাত্রনেতাদের একজন, এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে এক ব্যাক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়ে উঠছেন। অবৈধ সরকারের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলছেন, বার বার মৃতুোর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন, তিনি যত বার এই সরকার বাহিনি দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়েছেন তা অন্য কোন ছাত্রনেতা এমনটা হয়েছেন কিনা এটাই এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ? অবশ্য কেউ কেউ গুম বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী মত সাহসী বলে মনে করেন। তার এই উত্তান এতটা সহজ ছিল না।
২০১৮ সালে, নুরুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারন ছাত্র অধিকার সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক হন। ৩০ শে জুন ২০১৮ এ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাকে মারধর করা হয় এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্যরা এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
সেখান থেকেই তার শুরু এর পর এই লেখা পর্যন্ত কত বার সরকার দলীয় বাহিনি ও ছাত্রলীগ দ্বারা রক্তাক্ত হয়েছেন তার সঠিক হিসেব নেই।
২০১৯ সালে, নুর DUCSU এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সাধারণ একটি পরিবারে জন্ম নেয়া নূরের বাবা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার। তিনি জানান, “নূর মাতৃহারা হয়েছেন ১৯৯৩ সালে যখন তার বয়স আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয়বছর।”
যোগাযোগ সমস্যার কারণে তার মায়ের চিকিৎসা করাতে না পারার কারণে হয়তো সে ডাক্তার হতে চেয়েছিল।”
চর এলাকাতেই সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি।
এরপর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাচাতো বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন এবং কালিয়াকৈর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এইচএসসি পাশ করেন উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে।
মেডিকেল কলেজে সুযোগ না পেয়ে প্রথমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান।
আমাদের বিশ্বাস নুরু কোন দলের নয় এই দেশের সম্পদ, তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাওয়া নুরুর সংগ্রামে আমাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।
:- আমি যদি মরে যাই লড়াই টা তোমরা চালিয়ে যেয়ো- নুরুল হক নুরু
শেখ মো: সাদেক আহমেদ
লেখক ও রাজনৈতিক