কোরানে নারীদেরকে নিয়ে সে অসম্মানসূচক কথা বলা হয়েছে আমি কোন ভাবেই বিশ্বাস করি না আল্লাহতালহা এধরনের কথা নারীদের সম্পর্কে বলেছেন। কোরান সম্পূর্ণ ভাবে পুরুষের আদলে গোঁড়া একটা পুস্তক। পুরুষের সকল প্রয়োজন,যৌন ছাড়িটা নিয়েই লেখা হয়েছে। সেখানে নারীদেরকে নিকৃষ্টতম থেকে নিকৃষ্টতম জায়গা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ্ তালহা কোনদিন তার সৃষ্টির সাথে এই বিভেদের সৃষ্টি করবেন না। কোরান পড়লেই মনে হয় এটা পুরুষের গ্রন্থ। আয়াতগুলো এরকম-
তোমরা কখনো ভার্যাগনের মধ্যে সমতা রা করতে পারবে না যদিও লালায়িত হও, তবে সামগ্রিকভাবে ঝুকিয়া পড়িও না যে অপর স্ত্রীকে ঝুলানবৎ করিয়া রাখিবে এবং যদি সংশোধন কর এবং উভয়ে যদি পৃথক হইয়া যায়,তবে আল্লাহ অতিশয় মাকারী দয়ালু। এবং যদি উভয়ে পৃথক হইয়া যায় তবে আল্লাহ আপন উদারতায় প্রত্যেককে অমুখাপেী করিয়া দিবেন।-সূরা-৪:নিসা, আয়াত:১২৯-১৩০,
উহা কি প্রকারে ফেরত নিবে, যেহেতু তোমরা একে অন্যের সহিত সহবাস করিয়াছ? সূরা-৪: নিসা,আয়াত: ২১।
অর্থাৎ সহবাস বা যৌন উপভোগের মজুরি স্বরূপ তা গন্য হবে, যা স্রেফ নারীটিকে একেবারে রক্ষিতার পর্যায়ে নামিয়ে ফেলেছে।যাই হোক , এখানেও কিন্তু কোরান স্বামীকে বলেনি যে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার সময় স্ত্রীটি বছরের পর বছর ধরে সংসারে যে অবদান রেখেছে তার কোন স্বীকৃতি দিতে।মোহরানা পরিশোধ বা উপহার প্রদানের বিষয়ের সাথে পরিবারে যে অবদান রাখা হয়েছে তার কোন সম্পর্ক নেই। কোরান যদি বলত যে- স্বামীর অর্জিত সব সম্পদের ওপর স্ত্রীরও সমান অধিকার থাকবে যেহেতু স্ত্রী পরিবারের যাবতীয় সাংসারিক দায়িত্ব পালন করেছে, সন্তান সন্ততির লালন পালন করেছে, পরিবারের সুষ্ঠু রনাবেন করেছে সেহেতু স্বামী তার পেশাগত দায়িত্ব ঠিক মতো নির্বিঘœ চিত্তে পালন করতে পেরেছে ও সম্পদ অর্জন করতে পেরেছে- তাহলেই নারীদের প্রতি সত্যিকার সম্মান প্রদর্শন করা হতো। সুতরাং গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে – কোরান তথা ইসলাম একজন স্ত্রীকে তার স্বামীর একটা কাজের মেয়ে বা বড়জোর একটা রতিার মত মর্যাদা দিয়েছে। তবে সেই সম্পর্কটিকে একটা দলিলের(কাবিননামা) মাধ্যমে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছে যাকে ইসলামী চিন্তা বিদরা নারীদের জন্য একটা মহা মূল্যবান সম্মানের ব্যপার বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। খুব সূক্ষ্মভাবে বিচার করলে কোরান এর বর্ননা অনুযায়ী-
উহা কি প্রকারে ফেরত নিবে, যেহেতু তোমরা একে অন্যের সহিত সহবাস করিয়াছ? সূরা-৪: নিসা,আয়াত: ২১
তার মানে কাবিন নামা হলো একটা নারীর সাথে একটা পুরুষের যৌন কর্ম ও তার মজুরী ধার্যের একটা চুক্তিনামা যে কারনে পুরুষ মানুষটি যে কোন সময়ে চুক্তি মোতাবেক মজুরী পরিশোধ পূর্বক নারীটিকে বৈধভাবেই ত্যাগ (তালাক দেয়া) করতে পারবে, তাতে নারীটি কোন বাধা দিতে পারবে না।ঠিক একারনেই কোরানের বানী মোতাবেক মুসলমানদের মধ্যে তালাক প্রদান বিষয়টি সব চাইতে সহজ ও সরল এবং একারনেই মুসলমানদের মধ্যে নারীরা তালাক প্রাপ্ত হয় সব চেয়ে বেশী বঞ্চনার মধ্য দিয়ে। কোন রকম মানবিক দায় বদ্ধতা এখানে নেই।
খুব কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় হলো- ইসলামী চিন্তাবিদরা কিন্তু প্রানান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন পুরুষ ও নারীদের সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ও সে অনুযায়ী তারা কোরানের বানী তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন প্রানপন। তা করে তারা বের করলেন এই সুরা –
তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:১৮৭
এর অর্থ নাকি নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে আল কোরান। এবার এ আয়াতটি পুরো বর্ননা করা যাক-
তোমাদের জন্য রমজানের রাত্রে তোমাদের বিবিগনের নিকট গমন করা জায়েজ করা হইয়াছে, তোমার বিবিগন তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন, আল্লাহ জানিতে পারিলেন যে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করিতেছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদের অপরাধ মার্জনা করিলেন এবং তোমাদের দোষ ছাড়িয়া দিলেন, সুতরাং এখন উহাদের সহিত সহবাস কর। সূরা-২: বাক্কারাহ, আয়াত:১৮৭ ,
রমজান মাসে স্বামী স্ত্রী যৌনমিলন করতে পারবে কিনা তার সমাধান করার উপলক্ষ্যে এ সূরাটি নাজিল হয়।এখন পাঠকগন নিজেরাই বুঝতে পারবেন কেন স্বামী ও স্ত্রীগনকে একে অন্যের আচ্ছাদন হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে। এটা যে নারী ও পুরুষ সমান মর্যাদাবান অর্থে ব্যবহৃত হয়নি তা আশা করি ব্যাখ্যা করে বুঝানোর দরকার নেই। তারপরও বলতে হয়- বিষয়টা নিছক যৌন ক্রীড়ার সাথে সম্পর্কিত এবং সেটাই এখানে খুব পরিষ্কার ভাবে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ যৌন ক্রীড়ার সময় স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের আচ্ছাদনের মত বা একে অন্যের সাথে পরিপূরক হিসাবে কাজ করে কারন তা না করলে যৌন ক্রীড়ার আসল আনন্দটাই পাওয়া যায় না এবং বলা বাহুল্য বিষয়টা যে কতটা সত্যি তা বিবাহিত পুরুষ ও নারী মাত্রেই জানেন। এ আচ্ছাদন বলতে স্ত্রী যে স্বামীর সমকক্ষ বা সমান অধিকার ধারন করে তা কি কেউ বলবে ? আর খেয়াল করুন আয়াতটিতে বলা হচ্ছে শুধু পুরুষ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কেন তা বলা হচ্ছে? কারন পবিত্র রমজান মাসে যেখানে ধৈর্য্য ধারন করার কথা, যৌন ক্রীড়ার মত বিষয় থেকে দুরে সরে থাকার কথা,অসভ্য আরব পুরুষগুলো তা করতে রাজী নয়, যৌন ক্রীড়াই হলো তাদের আনন্দ উপভোগের প্রধান মাধ্যম, তাই রমজানের পবিত্রতা রার নামে তারা সে কাজ থেকে বিরত থাকতে রাজী নয়।নবী মোহাম্মদ মৌখিক ভাবে তাদেরকে রমজান মাসে যৌন সম্ভোগ করতে নিষেধ করেছেন কিন্তু কেউ তার কথায় কর্নপাত করে নি, বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে ভীষণ বুদ্ধিমান মোহাম্মদের বিলম্ব হয় না।তাছাড়া তার নিজেরও অসংখ্য সুন্দরী ও আকর্ষনীয়া স্ত্রী আছে, তিনিও বা কি করে তাদের সাথে সহবাস না করে থাকবেন? তিনি খুব দ্রুত বুঝে ফেললেন আরবদের মাঝে ইসলাম প্রচার করতে হলে রমজান মাসের পবিত্রতার নামে যৌন ক্রীড়া বন্দ করার কথা বলা যাবে না, বললে ইসলাম প্রচার হবে না। ফলাফল- খুব দ্রুত আল্লাহর তরফ থেকে ওহী নাজেল হয়ে গেল এবং তাতে কি বলা হয়েছে তা তো উপরেই বর্ননা করা হয়েছে। আরবরা যে পবিত্রতা রার নামে রমজান মাসে যৌন ক্রীড়া থেকে বিরত থাকত না তার বর্ননা কিন্তু সূরাতেই আছে-আল্লাহ জানিতে পারিলেন যে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করিতেছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদের অপরাধ মার্জনা করিলেন এবং তোমাদের দোষ ছাড়িয়া দিলেন, আল্লাহ সত্যিই অশেষ দয়াবান ও ক্ষমাশীল, তিনি আরবদেরকে পূর্বকৃত অসংযমী যৌনাচারকে শুধু মাফই করেন নি বরং তাকে জায়েজ করে দিয়েছেন নিজ মহত্বতায়। কোরানে বার বার যেখানে বর্ননা করা হয়েছে- নারীদের ওপর পুরুষরা কর্তৃত্বশীল, নারীদের ওপর পুরুষদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, স্ত্রী যদি অবাধ্য হয় তাকে শারিরীক ভাবে প্রহার করা যাবে, যে কোন সময় স্ত্রী বদলানোর জন্য তাকে তালাক দেয়া যাবে, এক সাথে চারটা পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহন করা যাবে, তাতেও তৃপ্তি না হলে যত ইচ্ছা খুশি দাসীকে ভোগ করা যাবে এত কিছুর পরে কোথায় যৌন ক্রীড়ার সময়কার একটা বর্ননাতে বলা হলো পুরুষ ও নারী একে অন্যের আচ্ছাদন আর তাতেই নারী পুরুষের সমান মর্যাদা সম্পন্ন হয়ে গেল ? বড় আজব কথা।
এইবার বলেন বিশ্বাস টা ধরে রাখবো কি করে?আল্লাহ তালহা আছেন। আমি ওনার উপস্থিতি বুঝতে পাড়ই উনি আমাকে ভালবাসেন। আবার কোরানে উনি নারীকে অসম্মান করে এসকল কথা বলেছেন এই বিষয় আমি মানু না। আল্লহাহর কাছ থেকে যা এসেছে টা পড়লেই বুঝতে পাড়া যায় কিন্তু যেখানে নারী পুড়সকে আলাদা করে শুধু পুরুষের স্বার্থের কথা বলেছে সেখানে এসকল আয়াত পরে ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রাখা আজকাল আর সম্ভব হচ্ছে না।