দুই বিবদমান গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়িত একটি গ্রুপ বিরোধী গ্রুপকে ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়স্থ প্যারিস রোডে ছাত্রলীগের এই গ্রুপটি নিজেদের ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ দাবী করে একটি মানব বন্ধন করে অদ্য বেলা এগারো ঘটিকায়।
গত রোববার মারামারির ঘটনায় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী রাশেদুল ইসলাম রকি ও গোলাম মাওলা বিপ্লবকে মারধরের ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে মানববন্ধনে প্রতিবাদ জানানো হয়। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তারা এখানে পড়ালেখা করতে এসেছেন, মারামারি করতে নয়। ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা কেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা বন্ধ করতে এবং হামলাকারীদের শাস্তির নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তাঁরা।
অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী ও রাবি ছাত্রলীগের উপপাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী নাইমুর রহমান দুর্জয়, তৃতীয় বর্ষের আশিক ইশতিয়াক, শরীফুল ইসলাম পিয়াস প্রমুখ। মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।এর আগে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন রাশেদুল ইসলাম রকি।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস ভবনের সামনে ছাত্রলীগকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গোলাম রাব্বানী এবং অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী রাশেদুল ইসলাম রকির মধ্যে মারামারি হয়। গোলাম রাব্বানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী এবং রাশেদুল ইসলাম রকি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার অনুসারী।
রুনুর অনুসারীদের পরবর্তীতে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন রাব্বানী। সাবরুন জামিল সুস্ময়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ছাত্রলীগ মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, এর নেতৃত্বে উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের দশ বারো জন রুনুর অনুসারী কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন আর্টস বিল্ডিং এর সামনে অবস্থান নিলে সাবরুন জামিল সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা পারস্পরিক কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র গোলাম মওলা এবং রাশেদুল কে বেদম প্রহার করে।