ধার্মিকতা এর আরেকটি নতুন ব্যবহার চালু করেছেন অবৈধ, তাঁবেদার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী রিপোর্টে এই মন্তব্য করেছে ব্রিটেন এর বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ । সুপ্রিয় পাঠক দের জন্য রিপোর্টের চুম্বক অংশ উপস্থাপন করা হল।
শেখ হাসিনা’স ব্লান্ডার: বাংলাদেশ’স প্রাইম মিনিস্টার ইউসেস পিটি টু মাস্ক মিসরোল’ শিরোনামের ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রে অনেক ক্ষত সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকার জন্য বংশানুক্রমিক একঘেঁয়ে বিবাদে লিপ্ত রয়েছেন তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। খালেদা জিয়ার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানি চালানো হয়েছে।
সরকার অনুগত নয় সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন টার্গেট করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয় । নোবেল বিজয়ী ক্ষুদ্র ঋণ অর্থনীতির প্রবক্তা মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি ব্যাংকও বাদ যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর দায়ে বাংলাদেশের বৃহৎ ইসলামী দলকে (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী) ছিন্নভিন্ন অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন তিনি (শেখ হাসিনা)। দলটির অনেক নেতার মৃত্যুদন্ডও কার্যকর করা হয়েছে। এসব কাজের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা সবশেষ ব্যর্থতা হলো- তিনি ইসলামপন্থী বিক্ষোভকারীদের দাবি দাওয়া মেনে নিয়েছেন আর সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা থেকে ফিরে এসেছেন। এর ধারবাহিক রেশ কিন্তু থেমে থাকবে না।
শেখ হাসিনার ‘অসংযম’ আচরণের মতোই আধুনিকতা বাংলাদেশে বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মুসলিম, কিন্তু সংবিধান ধর্মের স্বাধীনতার নিরাপত্তা দেয়। এ দেশে শতকরা ৯ ভাগ হিন্দু। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসনে তারা অধিষ্ঠিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিষয়টি লক্ষ্য করেছে।
বাংলাদেশের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মূল্যায়ন না করে, বিশেষ করে যারা স্বাধীনভাবে নিজের ভোট দেবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের বাদ দিয়ে সরকার ধার্মিকতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সমর্থন পাবার চেষ্টা করছে।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণের সমালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মূর্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সুপ্রিমকোর্টের সামনে ‘বিচারের প্রতিক’ মূর্তিটি অপসারণ করা হয়েছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিব নব গঠিত বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার পরিবর্তে ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রচলন করতে চেয়েছিলেন।অথচ তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এর সাথে ঐক্য গড়েছিলেন এক সময়। কিন্তু এই শেখ হাসিনা আবার তাঁর অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এই জামায়াতে ইসলামী কে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করেছেন। গণতন্ত্র কে ফিরিয়ে আনাই এখন বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে।