আওয়ামীলীগের মধ্যে কয়েকটি ক্ষমতা বলয় সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা একটি দলের সাথে এটি হবে, তা-ই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দলের মধ্যে সমমনারা নিজেদের মধ্যে থাকবেন, এটিই হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগের যে ক্লাসিকাল চিত্র, শেখ হাসিনাই সর্বময়ী, তার সাথে এই চিত্র যায় না।
শেখ হাসিনা শুধু পদাধিকার বলে মানুষের সমর্থন পেয়ে আছেন। পদ গেলে হাসিনাও শেষ। এই পদের দিকে তাকিয়ে আছে শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এরা দুই জন। রেহানা দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার হয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন করে আসছেন। এজন্যই সরাসরি কোনো দূর্নীতিতে শেখ হাসিনাকে জড়িত পাওয়া যায় না, কিন্তু অপর দিকে রেহানার পরিবারের এবং পরিবারের আত্মীয়দের সম্পত্তির হিসাব করা শুরু হলে চোখ ছানাবড়া হবার জোগাড় হয়।
রেহানার বলয়ের তুরুপের তাস হচ্ছে ওবায়দুল কাদের। কাদের মাইনাস টুতে আওয়ামীলীগের অন্যতম সমর্থক ছিল। তবে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের পরে সে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। সে অতি ধুরন্ধর! এছাড়াও, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক শোভন-রাব্বানী রেহানার স্নেহভাজন হয়ে উঠছিল বলেই তাদের পদচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রচার আছে।
ক্যাসিনো সম্রাটও ছিল রেহানার লোক, তাকেও একেবারে নাস্তানাবুদ করে ফেলেছিল সরকার, যদিও তাকে যুবলীগে পদ দিয়েছিল এরাই!
সবশেষ, গোয়েন্দা এবং অন্যান্য বিশেষ বিভাগেও রেহানার লোকেরা রয়েছে। শেখ হাসিনার জীবদ্দশায় হয়ত আমরা খালা-ভাগ্নের গ্যাঞ্জাম দেখতে পাবো না। তবে বিলেতে শুনেছি এই গ্যাঞ্জাম বিএনপি-আওয়ামীলীগের গ্যাঞ্জামের চেয়েও বেশি সিরিয়াস হয়!