নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সব সুযোগসুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ীকমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, `তারা হচ্ছে আওয়ামী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। মুক্তবাজার অর্থনীতির থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া, পেঁয়াজ ও লবণের মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, সেটা হচ্ছে আওয়ামী অর্থনীতির প্রতিফলন।’
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, বিএনপির উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন দিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয় ক্ষমতা এরইমধ্যে কমে গেছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের যে প্রকৃত আয় ছিল, সেটা কমে গেছে। তার ওপরে দ্রব্য মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি সেটা মানুষের প্রকৃত আয়কে আরও কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে গরিব, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের প্রকৃত আয় আরও কমে গেছে। মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারছে না, প্রতিবাদ করতে পারছে না, সংবাদপত্র লিখতে পারছে না, গণমাধ্যম (টেলিভিশন) দেখাতে পারছে না। একটা ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
সরকারেরর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা দ্রব্যমূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের পক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ, তারা কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আজকে বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে যে লুটপাট হচ্ছে, সেখানে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট, ৫০ হাজার টাকায় রূপান্তরিত হচ্ছে।’
খসরু আরও বলেন, ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যে মামলা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। অন্যায়ভাবে বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অন্যায়ভাবে গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সরকারের। সেটা তারা দিতে পারছে না। বিএনপির কাউকে মারার দরকার হবে না। যে দলটি বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়, যে দলটি প্রতিযোগিতায় সব দলের থেকে এগিয়ে আছে, কাউকে হত্যা করে সেই দলটির রাজনীতি করার দরকার হবে না। যাদের জনপ্রিয়তার অভাব রয়েছে, যাদের জনগণের ওপর আস্থার অভাব রয়েছে, যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তারাই গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা করে থাকে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।