নিজস্ব প্রতিবেদক:তারেক রহমান শুধু একটি নাম নয়, লক্ষ কোটি বিএনপি’র যুবসমাজের আদর্শের প্রতীক. এই লক্ষ কোটি যুবসমাজের মধ্যে আমি একজন যাকে আমি আমার আইডল মনে করি.
দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা.দেশে গরীব দুখী মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো,দেশের উন্নয়ন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি দেশকে সুখী সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাই তার একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং তিনি সবসময় দেশের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করেন.
গতকাল যুক্তরাজ্য বিএনপি’র উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দেশনায়ক তারেক রহমান. লন্ডনে ট্রাফিক জ্যামের কারণে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে দেশনায়ক এর কিছুটা বিলম্ব হয় তিনি এসে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের কারণে আসতে বিলম্বিত হওয়ায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি.
কথাটা শুনে আমি হতবাক হয়ে লিডারের মুখের দিকে তাকিয়েছিলাম চোখে ছল ছল করছিলো পানি আর মনে মনে ভাবছিলাম যে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি লন্ডনে বসবাস করছেন অথচ তিনি এতটাই দেশকে নিয়ে চিন্তা করেন,দেশকে ভালবাসেন যে লন্ডনে জ্যামের কথা না বলে ভুল করে ঢাকায় জ্যামের কারণে আসতে লেট হয়েছে বলে ফেলেন আমি অবাক হয়ে গেলাম চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না.
আমি লিডারকে যখন দেখেছি তখনই তিনি দেশে চিন্তা করেন, দেশের মানুষের চিন্তা করেন. নিজের পরিবারের চাইতে নিজের দেশের মানুষকে বেশি আপন করে নিয়েছেন. দেশের প্রতি এই ভালোবাসা যে তার নেতৃত্বে সবচাইতে বড় গুন সেটা একমাত্র যারা তার কাছে থেকেছে বা তাকে দেখেছে তারাই বুঝতে পারবে.
তারেক রহমান এক দিনে কোটি যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন হয়নি. কোটি যুবকের আইডিয়াল হয়নি, তারেক রহমান তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আত্মার মিল সৃষ্টি করে নিজের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব কে বিকশিত করে আজ তিনি কোটি যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন হয়েছেন.
আমার মনে পড়ে তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি ইচ্ছা করলে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি তিনি প্রথমে তার জন্মভূমি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য হিসাবে রাজনীতিতে পদার্পণ করেছেন.
সেই থেকে তার রাজনীতি কর্মকাণ্ড শুরু.দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলী তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে এতটা বেশি জায়গা করে নিয়েছেন যে,তৃণমূলের নেতারা তাকে দলের শীর্ষ পর্যায়ে আসতে বাধ্য করেছে.তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তার মধ্যে শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছেন.
তিনি জোর করে নেতৃত্বে আসেননি, তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে,তাদের দাবি ছিল যে তারেক রহমানকে দলের নেতৃত্বে দেখতে চাই এই দাবি কে সম্মান করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাকে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব করেন.
বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায়,প্রতিটা গ্রামে,প্রতিটা ওয়ার্ডে, প্রতিটা থানায়, তিনি তৃণমূল প্রতিনিধি সমাবেশ করেছেন.ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের বক্তব্য শুনেছেন,তাদের সবকিছু শুনে তার সমাধান দিয়েছেন.যার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের নেতারা তাকে হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা দিয়েছে.পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে কেউ কোনো নেতা মুছে ফেলতে পারবে না.তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের উত্তরাধিকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উত্তরাধিকার.
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামে গঞ্জে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছুটে বেরিয়েছেন এবং সাধারণ মেহনতী মানুষের সঙ্গে মিশে খাল খনন কর্মসূচি মাধ্যমে তিনি দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন.সেই সময় শহীদ জিয়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য বলেছিলেন যে,(যদি নেতৃত্ব দিতে চান তাহলে তৃণমূল নেতাদের ভালোবাসা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে নেতৃত্বে আসুন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে নেতৃত্ব আসুন ).শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন তার উত্তরাধিকার আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান.
তারেক রহমান তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের ভালোবাসা নিয়ে,আস্থা নিয়ে নেতৃত্বে এসেছেন. তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব, বচনভঙ্গি তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে.
আমার মনে পড়ে যখন দেশনায়ক তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হয়েছিলেন,সে সময় বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারা তাকে মেনে নিতে পারেননি তারা বলেছিলেন যে,তারেক রহমানের বয়স কম,রাজনীতিতে ততটা এখনো পর্যন্ত পরিপক্বতা অর্জন করতে পারেননি সুতরাং তাকে এত বড় দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না.অনেকেই তার নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি বিরোধিতা করেছিলেন কিন্তু আজ তার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব গুণাবলী কারণে সেই সব নেতারাই তারেক রহমানকে নিয়ে গর্ব করছে.
তারেক রহমানের ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতির কারণে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত আজ একত্রিত হয়েছে. এক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা আজ তার নেতৃত্বকে সাদরে গ্রহণ করেছেন.
তারেক রহমান তার নেতৃত্বকে গ্রহণ করার জন্য বাধ্য করেননি, তার নেতৃত্বের গুণাবলী দেখে সেসব সিনিয়র নেতারা অভিভূত হয়েছেন,অনুপ্রাণিত হয়েছেন,তারা বুঝতে পেরেছেন যে শহীদ জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে যোগ্য.তারা বুঝতে পেরেছেন যে,দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সকল যোগ্যতায় তারেক রহমানের মধ্যে বিদ্যমান.
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসার মামলায় কারাগার বরণ করেছেন. পদাধিকারবলে দলের নেতৃত্বে তারেক রহমান. তিনি তাঁর ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠতা দিয়ে দলকে একত্রে রেখেছেন এবং বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছেন.আজ বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে.
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল নিয়ে বর্তমান অবৈধ সরকার কত নাটক করেছে. কিন্তু এটা তো তারেক রহমান তিনি আগে থেকেই জানতেন যে সরকার এটা নিয়ে নাটক করবে তাই সেই নাটকে যেন বিএনপি’র কোন ক্ষতি না হয় কাউন্সিল যেন বানচাল না হয় সেজন্য তিনি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন এবং তিনি সফলভাবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করেছেন আর ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধ.
তারেক রহমান এর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক প্রতিভা শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে. বিশ্বের উদীয়মান নেতা হিসাবে তারেক রহমানের নাম এক নাম্বার এসেছে.যার কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বব্যাপী তিনি সমাদৃত হয়েছে.
আজ বিএনপির স্বপ্ন দেখে যে,এই নেতার হাত ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, তার হাত ধরেই দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে.যেমন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল. সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল,ঠিক তেমনি দেশনায়ক তারেক রহমানের হাত ধরেই দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে,এবং দেশ স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও উন্নত দেশে পরিণত হবে.
তিনি খালেদা জিয়ার সন্তান.যে নেত্রী আপোষহীন কোনদিন অন্যায়ের কাছে আপোষ করেন নাই.তারেক রহমান এমন একজন নেতা তিনি হ্যামিলনের-বাঁশিওয়ালার মতো, তার কণ্ঠ,তার বক্তব্য, তার আচরণ,নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষকে মুগ্ধ করেছে.যার কারণে বর্তমান সরকারের এত মিথ্যা অপপ্রচার এত বেশি অন্যায় অবিচার করার পর তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র কমেনি বরং তার জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী.
হে নেতা আমি গর্বিত আমি এই প্রজন্মের সন্তান হিসাবে আপনার মত একজন নেতাকে পেয়েছি. আপনার মত একজন হ্যামিলনের-বাঁশিওয়ালা কে পেয়েছি. আপনার মত একজন অভিভাবক বাংলার কোটি জনগণ পেয়েছে, তার মধ্যে আমিও একজন.
আমি গর্বিত আপনি যে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হতে পেরেছি বলে.আমি বিএনপি’র কর্মী, আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক,আমি আপনার আদর্শের সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শের সৈনিক.
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই তারেক রহমান মানেই বাংলাদেশ, তারেক রহমান মানেই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারেক রহমান মানেই যুব সমাজের অহংকার, তারেক রহমান মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার নেতৃত্বদানকারী একমাত্র নেতা যাকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি,আশায় বুক বাঁধি তিনি হচ্ছেন আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান. স্যালুট আপনাকে আপনার নেতৃত্ব ও আপনার ক্যারিশম্যাটিক গুণাবলীর জন্য.
আমি বিশ্বাস করি আপনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ,আপনার হাতেই সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই বাংলাদেশ হবে শান্তির রোল মডেল.বাংলাদেশের কোটি জনতা আপনার অপেক্ষায় আপনার ডাকের অপেক্ষায়.
লেখক:-(সাধারণ সম্পাদক)বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল লন্ডন মহানগর.