48 laws of power নাম একটা দারুণ একটা বই আছে। যাদের মোটামুটি কিংবা অনেক রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বইটা খুবই দরকারী, বাকীদের জন্য প্রীতি নষ্টকারী। এই বইয়ের একটা কানুন শেখ হাসিনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। সমস্যা আগে সৃষ্টি করো, তুঙ্গে নাও, তারপর তার একটা সমাধান দেবে যেন তুমি না হলে সমস্যাটা কোনোভাবেই সমাধান হোতো না।
শেখ হাসিনা আরো কয়েকদিন আনাম সাহেবকে হেনস্তা হতে দেবেন। তারপর তিনি ত্রাতার ভূমিকায় নামবেন। হয়তো বাড়ীতেও যেতে পারেন, কিংবা তাহমিনা আনামের সাথে সেলফি তুলবেন। মাহফুজ আনামকে বাড়ীতে ডাকবেন হয়তো। পরেরদিন তাগড়া সাংবাদিকরা লিখে দেবেন এমন মহান নেত্রী জগতে বিরল, ফেসবুকে গণীমতে পাওয়া চামচারা লিখে দেবেন, এই সেই নেত্রী, এই সেই নেত্রী – যার মাঝে প্রবহমান সেই সে মহানায়কের রক্ত। আকুল হয়ে চোখ, নাক ও অন্যান্য পানি এক করে ফেলবেন অনেকে। মানুষজন দুঘন্টায় ভুলে যাবে যে এই সমস্যাগুলো ইন দি ফার্স্ট প্লেস তার দলের করা।
এই খেলাটা শেখ হাসিনা বারবার খেলেন এবং খুব ভালো খেলেন। তিনি আগুন তৈরী করেন, সেই আগুনে হওয়া দেয় তারই দলের লোক এবং শেষে নেভানও তিনি।
আই লাভ ইট। তার জানা আছে, মাহফুজ আনামরা ফিজিকালি ইনকেপেবল আওয়ামী লীগকে অসমর্থন করতে। তাই স্টেটাস কো বজায় থাকে মাশাল্লাহ। শেখ হাসিনা খুব ভালো করে জানেন বাংলাদেশে ব্রাস বলস অলা সম্পাদক কেবল দুইজনই আছেন: মাহমুদুর রহমান আর নুরুল কবীর। বাকীরা আওয়ামী লীগকে মা’র বকুনী দেন বটে কিন্তু মা’র স্নেহেরও অতিশয় কাঙ্গাল। মাহমুদুর রহমানকে শেষ করে দেয়াই হয়েছে, আর নুরুল কবীরের ইংরেজি পত্রিকা কে পড়ে বাংলাদেশে?
তার দরকার ছিলো আলো-স্টারকে একটু টাইট দেয়া – ওটা হয়ে গেছে। এখন উনি পারফেক্ট টাইমিং এর অপেক্ষায় আছেন।