নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ঘোষক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, ‘৭১ এর রণাঙ্গনের মহানায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নদস্টা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার, ২রা জুন, বিকাল ৬ ঘটিকার সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ফেইসবুক লাইভ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ সাহিন এর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হুসেন এর পরিচালনায় কোরআন থেকে তেলাওয়াত মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয়।এসময় জুম অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সারোয়ার আলম।
ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র প্রথম যুগ্ন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, যুগ্ন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরুজ।
অনুষ্ঠান আরোও অংশ গ্রহন করেন যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়ার সহ সভাপতি শরিফুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক আজিম উদ্দিন,শ্যামল, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হুসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, লন্ডন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক শেখ সাদেক আহমেদ সহ আরো অনেকে।
আলোচনা সভায় শফিউল বারী বাবু বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করেন। বাকশাল পর্ব পেরিয়ে এই সময় আওয়ামী লীগও নতুন করে নিবন্ধিত দল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমান আওয়ামী লীগকে দেখা যায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানীকে ‘বীরউত্তম’ খেতাব দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার।
জিয়াউর রহমান দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে যে সংস্কার কাজগুলো বাস্তবায়ন করছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ‘স্বেচ্ছাশ্রমে খাল কাটা’ কর্মসূচি। সারাদেশের ভরাট হয়ে যাওয়া খাল ও নদী পুনর্খনন ছিল একটি সফল উন্নয়ন উদ্যোগ। আমলাগোষ্ঠীকে কোদাল হাতে, টুকরি হাতে খালাকাটার কাজ করতে হয়েছে। এই কর্মসূচিটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। কৃষির জন্য সেচকাজ, মৎস্য-উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কম-বাজেটে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এই যে হাজার হাজার কিলোমিটার খালকাটা কর্মসূচি, এটা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে।
আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল তার ব্ক্তব্য বলেন দেশে দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সাধারণ অপরাধসমূহ কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে সেই সময়কার পত্রপত্রিকা তার সাক্ষ্য দেয়। তাছাড়া এ দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির শিল্প এবং মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানি কাজে সাফল্য অর্জনের পথ দেখান জিয়াউর রহমান। শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠায় বেসরকারি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং ব্যাপকভাবে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করেছিলেন।
এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপি’র প্রথম যুগ্ন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক পারভেজ মল্লিক বলেন গনতান্ত্রীক রাজনীতিতে আওয়ামিলীগ এর জনক বিএনপি। কারন জিয়াউর রহমান বাংন্যলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্টা করে আওয়ামীলিগ কে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন কিন্তু গনতন্ত্রের সেই ধারা ভুলে গিয়ে আওয়ামিলীগ আবারো তাদের পুরোনো রুপ সৈরাচারের আবর্তিত হয়েছে, তাদের পতন অনিবার্য।
সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী বলেন জিয়াউর রহমান মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের একটি বিশেষ ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন। আবার চীনের সঙ্গেও নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে সাফল্য অর্জন করেন। তিনি দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লবের জন্ম দিয়েছিলেন। আরও নানা কাজে হাত দিয়েছিলেন জাতীয় উন্নয়নে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। যদিও ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে সব কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধা ও কর্মবীর এই জাতীয়তাবাদী নেতাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেও ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তার আদর্শ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন চির অমর।
আলোচনায় সভার শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা সহ বিশ্ব মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করা হয়৷