বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী বরেণ্য রাজনীতিবিদ তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ, যিনি এই আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও ছিলেন, দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিকিউরিটি ও ইণ্টেলিজেন্স বিভাগের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
তিনি বলেছেন এন এস আই, ৱ্যাব ও ডি জি এফ আইয়ের যৌথ অপারেশনে তার বোনের ছেলে সৌরভকে গুম করা হয়েছে। সৌরভের পরিবারের বর্ণনায় বুঝা যায় নেহাতই এক বিত্তশালী পরিবারের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পুলিশ সহ তিন রাষ্ট্রীয় বাহিনী এই গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে। সংবাদ সন্মেলনে সোহেল তাজ বলেন, “ন্যায় ও সুবিচারের রাষ্ট্রে কোনো নাগরিকেরই এমন পরিণতি কাম্য নয়। আজ আমার ভাগ্নে, কাল হয়তো আপনার ভাই, আরেকদিন আপনার সন্তান হতে পারে।”
সোহেল তাজ হয়তো জানেন না যে তার দলের শাসনকালে কমপক্ষে প্রায় পাঁচশো মানুষকে গুম করা হয়েছে। আমাদের অনেকেরই ভাই, সন্তান এখনো নিখোঁজ। তারা হয়তো আর কখনো ফিরে আসবে না। গুম নিয়ে এফ আই ডি এইচের সাম্প্রতিক রিপোর্টেও গুমের সাথে উল্লেখিত বাহিনীগুলোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এখন সোহেল তাজের নিজের পরিবারও এইরকম এক গুমের শিকার হল।
সোহেল তাজ কি তাঁর দলের অপশাসনের সময়ে অব্যাহত গুমের সময়ে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন? যদি তিনি আরো আগেই অন্যদের গুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেন, তাহলে আজ হয়তো তাঁর বোনের পরিবারকে এই দিনটি দেখতে হতো না।
একটা সুন্দর ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার গুরুত্ব আশা করি সোহেল তাজ এখন আরো ভালোভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন।