নিজস্ব প্রতিবেদক :আচ্ছা, অবৈধ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশের একজন তথ্য বাবা আছেন না..??যিনি অবৈধ নির্বাচনের আগে কত পার্সেন্ট ভোট দিন-রাত মিলিয়ে চুরি করতে পারবেন,তার একটা স্পষ্ট ধারণা জাতিকে ভোট ডাকাতির আগেই জানিয়ে দিতেন।শুধু সংসদ নির্বাচন নয়,সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনে তিনি তার তথ্য ভান্ডার নিয়ে জাতির সামনে হাজির হন।কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, করোনা মহামারীতে জাতি তার কাছ থেকে কোন পরিসংখ্যান পাচ্ছে না।হয়তবা তিনি ভোট চুরি ছাড়া অন্য কোন ইস্যুতে এতটা সিরিয়াসনেস বোধ করেন না,তাই করোনা মহামারীতে তিনি নিশ্চুপ।
৮ মার্চ,২০২০ বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর প্রায় ২ মাস হতে চলল, করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে আমরা অধিক সংখ্যক মৃত্যুর সংবাদ পেলেও আইইডিসিআর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণকারীদের সংখ্যা ১০ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে।(২ মাসে ব্যতিক্রম শুধুমাত্র ১৭ মার্চ-১৫ জন)।অনেক ঘাটাঘাটি করার পরও সারা বিশ্বের আর কোন দেশের সাথে বাংলাদেশের করোনায় আক্তান্ত হয়ে প্রায় ২মাস ব্যাপী প্রতিদিন মৃত্যু বরণের সংখ্যার (১০ জন) পরিসংখ্যানের কোন মিল খুজে পাচ্ছি না।
আমার প্রশ্ন, করোনা কি বাংলাদেশে গণিতের সূত্র মেনে প্রতিদিন ১০ জনকে বেছে বেছে প্রাণ হরণ করছে..??নাকি তথ্য বাবার মত ভোট চুরির পরিসংখ্যানের মতই কারচুপিময় তথ্য আমরা প্রতিদিন পাচ্ছি..??
[বি.দ্র. করোনা/মৃত্যু নিয়ে আমি রাজনীতি করছি না,আমার এ লেখাটির মূল উদ্দেশ্য হল অবৈধ ভোট চোর সরকার যদি জাতিকে সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করে,হয়তবা মানুষ আরও সচেতন হত,আরও প্রাণহানি থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পেত এবং আসন্ন সংকট থেকে কিছুটা হলেও আমরা ভালো ফলাফল পেতাম। তদুপরি,ভোট চোর অবৈধ সরকারের কোন পরিসংখ্যান আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না।
মহান রাব্বুল আলামিন বাংলাদেশকে করোনা মহামারী থেকে রক্ষা করুন,আমিন।]