সংগ্রাম ডেস্ক: কেমন আছেন পাশের বাড়ির মানুষটি? এমন প্রশ্ন করার মতো সময়ও আমাদের নেই। ক্রমেই আমরা যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি, এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আমাদের চিন্তার পরিবর্তর জরুরি। একটি কথা মনে রাখা ভালো- সমাজ নিয়ে ভাবনার বয়স লাগে না, প্রয়োজন চিন্তা ও মানসিকতা। শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলে সমাজের কোন পরির্তন আসবে না। ভাবতে হবে চারপাশের মানুষ নিয়ে। পরিবর্তন ছাড়া সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যখন সমাজের পরিবর্তন হয়, তখন কুসংস্কার সমাজ থেকে দূরিভূত হয়। শিক্ষা, সেবা, কমর্সংস্থান ও উন্নয়ন নিয়ে যখন ভাবেন কেউ তখন সমাজ আদি সমাজ ব্যবস্থার কুসংস্কারকে ছেড়ে নতুন সত্য, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সংস্কারমূলক সমাজ সৃষ্টির পথ আলোকিত হয়। সকল পরিবর্তনের জন্য প্রথমে প্রয়োজন তারুণ্য। যখন আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব পুরো সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনছে, তখনই কিছু তরুণ কল্যাণমুখী কাজে নিয়োজিত করছেন, সমাজ, দেশ ও রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন করার জন্য অদম্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অদম্য একজন তরুণ ইয়াছিন আলী। তিনি নিঃস্বার্থভাবে সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আশপাশের মানুষদের জন্য কিছু করতে সচেষ্ট হন। এমন মনোভাব নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনে ’ যে সংগঠন সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। ইয়াছিন আলী আত্মকেন্দ্রিক না থেকে সমাজ কিংবা দেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছি, আমি রাাজীব কুমার ঘোষ********
আপনি সমাজ নিয়ে কি স্বপ্ন দেখছেন?
আমাদের সমাজের দিকে তাকালে প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য, যা অতি দুঃখের হলেও সত্য। আজকের আধুনিক বিশ্বের ছোঁয়া সত্ত্বেও আমরা সেকেলে সমাজ ব্যবস্থা হতে বেরিয়ে আসতে পারিনি। প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থার কুসংস্কার, বৈষম্য ও অবমূল্যায়ন আমাদেরকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। শ্রেণি বৈষম্যের দিকে তাকালে দেখা যায় সমাজের একটি গরিব লোক শিক্ষিত, মেধাবী এবং নেতৃত্ব দেবার মত যোগ্যতা রাখলেও আমাদের ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা এই লোকটিকে সুযোগ না দিয়ে তাকে অবমূল্যায়ন করে পিছনে ফেলে রাখে যা আমাদের জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। পক্ষান্তরে, একজন সম্পদশালী ব্যাক্তি মেধা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সমাজ তাকে নেতৃত্বের ভার দেয় যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার জন্য হুমকি স্বরূপ।
এছাড়া নারী পুরুষের বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্যসহ নানান স্তর ও মাত্রার বৈষম্যে ছেঁয়ে গেছে আমাদের সমাজ। তাই আমি এই আধুনিকতার যুগে দাঁড়িয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি যে আসুন আমরা সকলের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে এমন একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করি যে সমাজ আমাদের নিয়ে যাবে উন্নতির চরম শিখরে।
সমাজের পরিবর্তন কিভাবে আসতে পারে?
মানবতাবোধই পারে সমাজের রূপ বদলে দিতে, তাই আমাদের সবার মধ্যে মানবতাবোধ জাগাতে হবে। একজন মানুষ সঠিক শিক্ষাগ্রহণ না করলে তার প্রভাব সমাজের ওপর পড়ে। সে কারণে আমাদের সঠিক শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।
মানুষের পাশে কিভাবে দাঁড়াতে চান?
আমি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। এখানে গুরুত্ব পায় ইচ্ছা এবং কাজ করার স্পৃহা। যেখানে থাকি যেভাবেই থাকি যে পেশায়ই থাকি মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই সবসময়। আমি যা করি গরীব দুঃখী মানুষদের ভালোবেসেই করি। এ ধরণের কাজ করে আমি আনন্দ পাই। সেজন্য বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়া সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছি।একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করতে চাই। পরিশেষে বলতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্য অহংকার তারেক রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমার লক্ষ্য, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ,,