নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষ কতটা হিংশুক হতে পারেন! পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে একজন নিরীহ মানুষ কে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাচ্ছে।
এমন ই এক ঘটনা ঘটেছে সিলেট এর জৈন্তাপুর থানার পশ্চিম টাকুরের মাটি গ্রামে। জানা যায় আখলিস মিয়া ও মদরিস মিয়ার পরিবারের মধ্য গত কয়েক বছর ধরে পারিবারিক শত্রুতামি চলে আসছিল, তার ই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার ২৮/৩/২০ইং আখলিস মিয়া(৫২) ছেলে রাব্বি (১৭) তেতুল পাড়তে আংটা লাগানো একটি লাটি নিয়ে গাছে উঠেন তা দেখে শাহিন আহমেদ(৩৫) এর পরিবারের ছোট বাচ্ছারা তেতুল খেতে গাছের নিচে চলে আসেন এবং তেতুল পাড়তে গিয়ে রাব্বির হাতে থাকা লাঠিটি অসাবধানতা বসত পড়ে গিয়ে শাহিন আহমেদ এর বাতিজির (৫) মাথায় আঘাত পায় এবং আহত হয়, রাব্বির আব্বা আখলিস মিয়া বাড়ীতে না থাকায় রাব্বির চাচা তারেক উদ্দিন শাহিন মিয়ার কাছে এই ঘটনার জন্য দুংখ প্রকাশ করেন এবং শালিশি বৈটকে বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন কিন্তু তা তোইয়াক্কা না করে মন গড়া কাহিনি বানিয়ে শাহিন আহমদ থানায় মামলা করেন। পরে জৈন্তাপুর থানার ওসি শ্যামল বনিক কোন রকমের তদন্ত ছাড়াই আখলিস উদ্দিন এবং তার ছেলে রাব্বিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং পরে শাহিন এর সাথে যোগসাযোগ করে থানার ওসি ৭/২৬ ধারা লাগিয়ে আখলিস উদ্দিন এবং রাব্বিকে জেলে প্রেরন করেন।
এই বিষয়ে সত্যতা জানতে আমরা কয়েক বার থানার ওসি শ্যামল বনিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করি কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এর এর আমরা রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জৈনতাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এটি একটি অনাকাংখিত ঘটনা তবে শাহিন মিথ্যা কেইচ বানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করিয়েছেন এবং থানার ওসি শ্যামল বনিক সাহেব কে আমি ফোন করে বিষয়টি মিথ্যা বলে জানাই কিন্তু তিনি আমার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠান।