তবে দুদক বলছে, আইনগত লড়াইয়ের মাধ্যমে তার বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই সাজা বাতিলের কোনও সুযোগ নেই। সাজার বিরুদ্ধে আপিল, জামিন আবেদন আর জামিন খারিজের মধ্যেই দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে দুই বছর ধরে কারাগারে খালেদা জিয়া।
দলটির আইনজীবী নেতারা বলছেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তাদের কোন ব্যর্থতা নেই। অভিযোগ জামিন না হওয়ার কারণ সরকারকে খুশি করে আদেশ দিচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত।
এ প্রসঙ্গে, খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন জানান, ‘লড়াই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা আশা করি যে, সর্বশেষ যে আদেশটি হয়েছে, সে আদেশটি রিভিউ করার আমাদের সময় আছে। আবার আমরা এটাও চিন্তা করছি; আমরা হাইকোর্ট বিভাগে বেইল আবেদন করবো।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাকে আইনগত ভাবে মুক্তি দেয়া যাবে না। কারণ আমাদের বিচার ব্যবস্থাও অনেক সময় সরকারের ইতিবাচক ইচ্ছায় পরিচালিত হয়।’
এদিকে, দুদক বলছে খালেদা জিয়ার সাজা বাতিলের আইনগত সুযোগ নেই। জামিন বা সাজা বাতিলের আবেদন করা হলে তারাও আইনীলড়াই করবে। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘জামিনের যে আবেদন দাখিল করেছেন, সেটা শুনানির উদ্যোগ নেননি তারা। সে জন্য খালেদা জিয়ার দুটি জামিন লাগবে, একটি পাঁচ বছরের সাজা যেটা বহাল থেকেছে সেটি। আরেকটি রিভিশনে যেটা দশ বছর হয়েছে সেটি।’
এতিমদের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত পরে আপিল শুনানিতে সাজার মেয়াদ বছর থেকে বেড়ে হয় দশ বছর।
ওই বছরই চ্যারিটেবল মামলায় বিচারিক আদালত ৭ বছরে সাজা দেন খালেদা জিয়াকে। মামলাটির আপিল শুনানির অপেক্ষায় আছে। সতের বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাঁচটিসহ ৩৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে ৩৫টি মামলায় জামিন রয়েছেন খালেদা জিয়া।