ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন কে ঘিরে পুরো ঢাকা শহর হয়ে উঠেছে উৎসব মুখর। দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, কোথাও কোথাও একে অন্যের নির্বাচনী পোস্টার ছিরে ফেলা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আর কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতারের ঘটনা ছারা তেমন বড় ধরনের কোন অপৃতিকর দৃশ্যমান কোন ঘটনা ঘটেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ওবিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও এই দুটি দলের সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের চলছে নানা ধরনের নির্বাচনী প্রচারনা ও প্রতিশ্রুতি।
নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা অনাস্থার দোলা চলে মধ্যেও ঢাকা সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি।
রাজনৈতিক মামলায় ধরপাকড় আর হয়রানির ভয়ে দলটির নেতা কর্মীরা আত্মগোপন থেকে গেরিলা কায়দায় দলীয় ও নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে মিটিং মিছিলে কর্মী সমাগম দলটির জন্য কষ্টসাধ্যই বটে। বিগত সংসদ নির্বাচনে পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতারের ফলে দুইধাপে এজেন্ট রেখেছিল দলটি। এর পরেও কেন্দ্র থেকে তাদের মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগও সাংবাদিকদের কাছে করেছে সেসময় দলটি।
এতসব অস্থিরতা মাথায় রেখেই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে বিএনপি।
এর মধ্যেই গতকাল ২৭ জানুয়ারি সোমবার প্রায় ত্রিশ হাজার (৩০ হাজার) লোকের একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকা প্রদক্ষিণ করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে এই নির্বাচনী শোডাউনটিতে অংশ নেয় ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
এক এগারোর পর ঢাকা শহরে বিএনপির এতো বড় নির্বাচনী শোডাউন এটাই প্রথম বলে মন্তব্য করছে ঢাকাবাসির অনেকেই।
হাজার হাজার লোকের এই শোডাউন সম্পর্কে ঢাকা দক্ষিণের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক মির্জা আব্বাস বলেন,দেশের মানুষ দুর্নীতি দুঃশাসনে একেবারে হাপিয়ে উঠেছে। মানুষ এখন মুক্তি চায়.
মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। সেকারনে সতস্ফুর্ত ভাবে জনগন বিএনপির মিছিলে এসে যোগ দিয়েছে।’
এবং আমি মনেকরি এটাই আমাদের বড় পাওয়া। এটাই ইশরাকের প্রথম জয়।জনগন যদি সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারে আর সরকার যদি ভোট চুরির নতুন কায়দা ইভিএম দিয়ে মাস্টারিং না করে।
তাহলে হাজার হাজার মানুষের ন্যায়ের পক্ষে এই মিছিলটিই আজকে বলে দেয়, জয় আমাদের সুনিশ্চিত, ইনশাআল্লাহ্